১৯৮৮ সালে S.S.C-ভোলা সরকারী স্কুল থেকে মানবিক শাখা থেকে প্রথম হয়েছিলাম।১৯৯০ সালে ভোলায় সরকারী কলেজ থেকে মানবিক শাখা থেকে প্রথম হয়ে ছিলাম।স্কুল জীবন থেকে ছাত্রলীগের পতাকা তলে চলে যাই।ভোলা কলেজে ছাত্রলীগে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছিলাম।S.S.C ও H.S.C পর ঢাকায় চলে যাই।
আমার রাজনীতির সৃষ্টি শেখ হাসিনা,তার দ্বারা আমি আজ সবার মুখে মুখে।আমার কোন মামা,খালু,চাচা, ফুফা, দ্বারা আমি সৃষ্টি হইনি।আমার উপরে আছে আল্লাহ আর নিচে শেখ হাসিনা।আমি শেখ হাসিনা আপার মূল্যশোধ কোন দিন দিতে পারবো না,কারন আমি যখন সূয্যসেন হলের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলাম তখন থেকে শেখ হাসিনা আপার সাথে পরিচিতি লাভ হয়েছে।
ছাত্র রাজনীতির খুব অল্প সময় শেখ হাসিনা আপার সান্নিধ্যে পেতে সক্ষম হয়েছি।আমি যখন ঢাকায় পড়াশুনা করতে গিয়েছিলাম তখন আমাকে support দেওয়ার মতো কোন লোক ছিলনা।আপায় আমার যথেষ্ট খরচ বহন করেছিলেন।সব-সময় আমার খোজ খবর নিতেন।
আমি যখন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলাম তখন আপায় বলেছিল রাজনীতির হাল ছাড়িছ না,ধরে রাখিছ তুই একদিন নেতা হবি,নেতৃত্ব দিবি।সেই থেকে মনের মধ্যে একটা সাহস ছিল কারন আপায় আমার সাথে আছে।তারপর ৯০ এর ছাত্র আন্দলোন সংগ্রাম আর ও অনেক ইতিহাস।বয়স বেশি থাকার কারনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি হতে পারি নাই। তাতে আমার কোন আপসোস নেই কারন মাথার উপর আপায় আছে।
বিএনপি সরকার আমলে উত্তর বঙ্গ থেকে দক্ষিন বঙ্গ সব জায়গায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কে শক্তিশালী করার জন্য অবিরাম ছুটে বেরিয়েছি।আমরা যারা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতা ছিলাম যেমন লিয়াকত সিকদার,নজরুল ইসলাম বাবু সহ আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতা কর্মী সবাইকে সুসংগঠিত রেখেছিলাম।
রাজনীতি চলছে।
আমার স্বপ্ন ছিল অসহায় ত্যাগী আওয়ামী কর্মী জন্য কিছু করার।২০০৪ সালে ২১ শে আগষ্ট শেখ হাসিনা আপার জনসভায় আমি কালা সেন্টু,রফিক,জুবায়দুল হক রাসেল সহ অনেক বন্ধু জনসভায় উপস্থিত ছিলাম।প্রচন্ড রোধে পানির পিপিসাটা বেড়ে গেলো সেন্টুকে বললাম আমি পানি নিয়ে আসি তুই থাক,তারপর পানি নিতে আসলাম হঠাৎ এক বিকট শব্দ শুনতে পেলাম পিছনে দিকে তাকিয়ে দেখি চিৎকার আর চিৎকার।
আমি দৌড়ে এসে দেখি কালা সেন্টু রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে।আমি হতভম্ভ হয়ে গেলাম এই মাত্র সেন্টুর সাথে আমি কথা বলে গেলাম।পাশে দিকে তাকিয়ে দেখি নানক ভাই,পংকজ দাদা,বর্তমানে আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কাদের ভাই সুরন্জিত দাদা,বাহাউদ্দিন নাসিম ভাই,মায়া ভাই,সহ আর ও অনেকে মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।পাশে দেখি আইভি আপা পড়ে আছে।তারপাশে শেখ হাসিনা আপার দেহরক্ষী লাস পড়ে আছে।চোখের সামনে হঠাৎ এমন দৃশ্য দেখবো জীবনে কল্পনা করিনি।হঠাৎ কি হতে কি হয়ে গেলো।
নিজেকে সামলাতে পারছিনা।আমি আর আমার বন্ধু রফিক,জুবায়দুল হক রাসেল সহ যারা অক্ষত আমরা সবাইকে আহত ব্যক্তিদের গাড়ীতে/মাইক্রোতে তুলে দিলাম।তারপর বাসায় এলাম কোন ঘুম নেই খাওয়া নেই শুধু ভাবি সেন্টুর কথা।কি হলো আমি তো এতক্ষনে লাস থাকতাম।
ও মাঝ খানে অনেক কথা বলা হয়নি আমাকে বেগম জিয়ার নির্দেশে রাষ্টদ্রোহী মিথ্যা মামলা দিয়েছিল বিএনপি সরকার।আমাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়।হাওয়া ভবন থেকে ২১শে আগষ্ট হামলার নীল নকশা করা হয়েছিল।আমরা ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা হাওয়া ভবন ঘেরাও করেছিলাম।এমন দিন গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হলে আমাদের কে মারার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
আমাকে পুলিশ ও ছাত্রদল ক্যাডাররা কুপিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে দিয়েছিল কে বা কারা আমাকে হাসপাতাল ভর্তি করেছে আমি জানিনা।পরে খবর পেয়ে তৎকালীন পানি সম্পদ মন্ত্রী রাজ্জাক ভাই আমাকে দেখতে আসে।আমার দ্রুত চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপায় ২ লাখ পাঠিয়েছিল।প্রায় ০৩ মাস প্রসাব করেছি ইউরিন ব্যাগ দিয়ে।
তারপরের ইতিহাস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হলে ছাত্রদল ক্যাডারা আমাদের উপর হামলা চালায় আমরা প্রতিবাদ করার কারনে আমাদের কে মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছে।আমাকে ০২(দুই) মাস ঘুম করে রেখেছিলো।কোনটা দিনের আলো কোনটা রাতের আলো তা বুজিনাই।এমনো দিন গেছে বস্তিতে রাত কাঠিয়েছি।
ভাই আমার উপর যে কত আক্রমন হয়েছিল তা বলে বুঝানো যাবে না।
আমাকে দুইবার গুলি করেছিলো।আল্লাহ রহমতে আমাকে মারতে পারেনাই।সেই থেকে মনে একটাই বিশ্বাস রাখে আল্লাহ মারে কে।
ভাই আর ও অনেক ইতিহাস।ইতিহাসের কোন শেষ নেই।ইতিহাসের কথা বললে নিজেকে বড় একা লাগে।
আজ যেই হেমায়েত তোমাদের মাঝে সেই হেমায়েত কেস খেয়ে খেয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরেছে শুধু খাবারের সন্ধানে।এমনো দিন গেছে রুটি খেয়েছিলাম।ভাত কি জিনিস চোখে দেখিনাই।আজ আমি সব নেতার মধ্যেমনি।এই হেমায়েতের বেড়ে উঠার পিছনে অনেক বড় কষ্টের কাহিনী আছে।কথা বলতে বলতে এক সময় হেমায়েত ভাই কেদেঁ ফেলে।
-হেমায়েত ভাই সাথে একান্ত আলাপচারিতায় তার মনের ব্যক্ত গুলো তুলে ধরলাম।
Leave a Reply