মাসুম বিল্লাহ জাফর, জেলা প্রতিনিধি
বরগুনার তালতলী উপজেলা ছয় বছর পার হলেও গড়ে ওঠেনি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। ওয়াপদা অফিসের সামনে ও খাদ্যগুদামের পিছনের সড়কের পাশের জায়গা, বাসাবাড়ির বর্জ্য সড়ক পরিষ্কার করে উন্মুক্ত স্থানে ময়লার ভাগাড় হয়ে পড়ে আছে। কতৃপক্ষকে বার বার বলা সত্ত্বেও তারা কোন বর্জ্য সরানোর ব্যবস্থা নেয়নি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, তালতলী বাজারের বিভিন্ন এলাকার রাস্তা ও খালের পাড়ে স্তুপ হয়ে আছে।এর মধ্যে ওয়াপদা অফিসের সামনে চার থেকে পাচঁ ফুট বর্জ্য স্তুপ হয়ে আছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে ভ্যানে করে বর্জ্য আনছেন তালতলীর পরিছন্নতাকর্মীরা। তারা ভ্যানে করে বর্জ্য গুলো ওয়াপদা অফিসের সামনে এবং তালতলী জেডিঘাট সংলগ্ন খালের পাড়ে ফেলে যান। এতে খাদ্যগুদামের পিছনের সড়কে বর্জ্য গুলা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে। এতে চলাচলের অসুবিধা হচ্ছে পথচারীদের।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন,বাজারের বর্জ্য গুলা এখানে ফেলা হচ্ছে। আবাসিক এলাকার বাসা-বাড়ির বর্জ্য রাখার ব্যবস্থা না থাকার কারনে ওয়াপদা অফিসের সামনে উম্মুক্ত খোলা জায়গায় বর্জ্য গুলা ফেলে রাখে। তাঁরা আরো বলেন, অবিলম্বে এই বর্জ্যের স্তুপ অপসারণ করতে হবে। পরে নতুন করে যাতে কেউ বর্জ্য ফেলতে না পারেন, সে ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য দায়ী করছেন বড়বগী ইউনিয়নের বর্জ্য
অপসারণে সঠিক পরিকল্পনা এবং অব্যবস্থাপনাকে।
পরিবেশবিদরা বলেছেন, “তালতলীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যদি এভাবে ময়লা ফেলা হয় তবে যে কোন সময় ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হতে পারে তালতলী। যে কারণে এখনই ভাবতে হবে তালতলী নিয়ে নিতে হবে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা।”
ইউপি চেয়ারম্যান জনাব আলম মুন্সি বলেন, “ইতিমধ্যে আমরা বর্জ্য ফেলার জন্য দুই জায়গায় ডাস্টবিনের ব্যবস্হা করছি এবং ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে বাজারের বর্জ্য গুলা অন্যত্র সরানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”
/সিডনিনিউজ/ আমিন
Leave a Reply