রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টার সময় ভোলা প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে স্থানীয় ইউছুপ মাতাব্বর (৫০) তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, রাজাপুরের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খাঁন, নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে জনগনের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে, ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করে জনগনকে জিম্মি করে রেখেছেন। এছাড়া পরিষদের সরকারি গাছ বিক্রি, জেলেদেরে চাল আত্মসাত, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, সরকারি অনুদানের নামে ঘর ও টিউবওয়েল দেয়ার নামে টাকা আদায়সহ বিভিন্ন অভিযোগ তোলা হয় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এই সময়ে চেয়ারম্যানের ক্যাডার হানিফ মেম্বার( ৫০) ,নাছির সর্দার (৪৫) ও সাদ্দাম (৩৫) গংদের আর্তকিত হামলায় মানববন্ধন পণ্ড হয়।
মানববন্ধনে আসা ভুক্তভোগী, দুলাল খন্দকার (৪০) গিয়াসউদ্দিন (৪৫) বিল্লাল জমাদ্দার( ৫৫) ও ইয়াছিন মিয়া (৫০) বলেন, মিজান খাঁ চেয়ারম্যান হওয়ার আগে একজন জলদস্যু হিসেবে সবাই জানতো। চেয়ারম্যান হওয়ার পরে , ইউনিয়নের বঞ্চিত মানুষ যাতে কোন প্রতিবাদ করতে না পারে, তার জন্য তার ক্যাডার বাহিনীর সদস্য, হানিফ মেম্বার, নাছির সর্দার ও সাদ্দামকে দিয়ে এলাকার সাধারন মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। কেউ প্রতিবাদ করতে চাইলে মিথ্যা মামলা, হামলা করে এলাকা ছাড়া করেন। সাম্প্রতিক সময়ে একটি মহিলার সালিশিকে কেন্দ্র করে লক্ষ টাকার বাণিজ্য হয়েছে। এই বাণিজ্য নিয়ে সাংবাদিকসহ আমরা সাধারন মানুষ মুখ খুলতে গেলে আমাদের বিরুদ্ধেও মামলা ও হামলা করে হয়রানি করছেন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খাঁন।
মানবন্ধনে হামলাকারী হানিফ মেম্বার, আব্দুল খালেক, নাছির খান, সাদ্দাম হোসেন, হারুন ও ফারুকের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চায় যে, আজকের শান্তিপুর্ণ মানববন্ধনে কার নির্দেশে আপনারা হামলা চালিয়েছেন। তখন তারা বলেন, হামলা চালাইনি। আমরা চেয়ারম্যান মিজান খানের লোক। আমরাদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যাতে কেউ মিথ্যা মানববন্ধন না করতে পারে তার চেষ্টাই করেছি মাত্র।
বিষয়টি নিয়ে টেলিফোনে চেয়ারম্যান মিজান খাঁনের সাথে মানববন্ধনে হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উল্লেখিত হামলাকারিরা আমার লোক নয়। তাদেরকে আমি চিনিনা। মানববন্ধন যে কেউই করতে পারে। একটি শান্তিপুর্ণ অনুষ্টানে হামলা যাহারা করেছে, তারা প্রকৃত পক্ষে আমার সুনাম নষ্ট করার জন্যই করেছে। তাছাড়া মানবন্ধনে আমার বিরুদ্ধে যা বলা হয়েছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা । একটিস্বার্থান্বেষী মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে ।
Leave a Reply