News Headline :
বোরহানউদ্দিনে গৃহ প্রদান উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ইউএনও”র সংবাদ সম্মেলন বোরহানউদ্দিনে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত রাজশাহীর পুঠিয়ার বানেশ্বর হাটে কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হলেও  উন্নয়ননের রেশ নেই  বোরহানউদ্দিনে রাতে ককটেল বিস্ফোরণ “এলাকায় আতঙ্ক আওয়ামী লীগ দেশ ছেড়ে পালায় না: বিএনপি নেতারাই পালিয়ে যায়।রাজশাহীর জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বোরহানউদ্দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হক চেয়ারম্যানকে পিটিয়ে জখম। বোরহানউদ্দিনে অবৈধ ট্রাক্টর কেড়ে নিলো আরমানের জীবন বোরহানউদ্দিনে জেলেদের মাঝে সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ বোরহানউদ্দিনে জমি দখল করতে সরকারি বরাদ্ধে নির্মিত বাজার ও মসজিদের টয়লেট ভেঙ্গে নিচ্ছে সাংবাদিকের কলমই পারে অপরাধীকে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিতে… প্রেসক্লাব সভাপতি অনু
বাংলাদেশে মফস্বল সাংবাদিকতা কতটা ঝুঁকির?

বাংলাদেশে মফস্বল সাংবাদিকতা কতটা ঝুঁকির?

আব্দুর রহিম হাওলাদার(রাজু)::- ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপের সংঘাতের সময় ছবি তোলায় ব্যস্ত ছিলেন সিরাজগঞ্জের সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুল। হঠাৎ করে গুলি এসে জীবন কেড়ে নেবে, এমনটা হয়তো তিনি কখনোই ভাবেননি।

তাকে লক্ষ্য করেই গুলি করা হয়েছিল কি না সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। কিন্তু বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় মফস্বলে সাংবাদিকদের টার্গেট করে হত্যা এবং নির্যাতন প্রায়ই ঘটে।

ফেনীর টিপু সুলতানের কথা অনেকেরই হয়তো এখনো মনে আছে। হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল সেটি বেশ বিরল।

তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের এমপি জয়নাল হাজারীর বিরুদ্ধে ছিল মূল অভিযোগ। তার পর থেকে ফেনীতে আর সাংবাদিকতা করা হয়নি টিপু সুলতানের ।

গত ১৪ বছর ধরে তিনি ঢাকায় কাজ করছেন। বলছিলেন মফস্বলে সাংবাদিকতা ঢাকার তুলনায় তার কাছে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ বলেই মনে হয়।

“মফস্বলের প্রত্যেকটা সাংবাদিক পরিচিত। সবাই সবাইকে চেনে। ওখানে কোন সংবাদ হলে তাকে টার্গেট করা সহজ। ঢাকায় সেটা সম্ভব না। মফস্বলের সাংবাদিক প্রতি মুহুর্তে, প্রতিদিনই ঝুঁকির মধ্যে থাকে,” বলছিলেন টিপু সুলতান।

যশোরের সাংবাদিক সাজেদ রহমানযশোরের সাংবাদিক সাজেদ রহমান, যার বড় ভাই খুন হয়েছিলেন

বেশ কিছু অঞ্চল আছে যেখানে সাংবাদিকতা বরাবরই ঝুঁকিপূর্ণ। এ ঝুঁকি তৈরি হয় নানা দিক থেকে। এর মধ্যে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল অন্যতম।

চোরাকারবারি, মাদক ব্যবসায়ী, সরকারি প্রশাসন এবং ক্ষমতাসীন রাজনীতিবিদরা বিভিন্ন সময় মফস্বল সাংবাদিকদের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠে।

পাশাপাশি মফস্বলে একজন সাংবাদিক তার পেশাগত কারণে যখন কোন প্রতিকূলতার মাঝে পড়ে তখন তার নিয়োগকারী সংবাদমাধ্যম তাকে সহায়তার জন্য কতটা এগিয়ে আসে সেটি নিয়েও প্রশ্ন আছে।

যশোরের সাংবাদিক সাজেদ রহমানের বড় ভাই শামসুর রহমানকে ১৭ বছর আগে তার অফিসে গুলি করে হত্যা করা হয়। সাজেদ রহমানও দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করছেন।

মি. রহমান বলেন, ” কিছু বড় পত্রিকা আছে যারা সাংবাদিকরা সমস্যায় পড়লে পত্রিকা কর্তৃপক্ষ দেখে। মামলায় পড়লে কর্তৃপক্ষ সেটা দেখে এবং সহযোগিতা করে। কিন্তু আমরা দেখেছি অধিকাংশ পত্রিকা কোন সহযোগিতা করেনা।”

জেলা পর্যায়ে যেসব সাংবাদিকরা কাজ করছেন, তাদের অনেকেরই প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে কোন নিয়োগপত্র নেই । অভিযোগ রয়েছে, অধিকাংশ সংবাদমাধ্যম জেলা প্রতিনিধিদের কোনও মাসিক বেতন দেয় না।

বাংলাদেশে একটি সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা আব্দুল জলিল ভুঁইয়াবাংলাদেশে একটি সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা আব্দুল জলিল ভুঁইয়া

অনেক জায়গায় রাজনৈতিক মতাদর্শকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের মাঝেও রয়েছে তীব্র বিভেদ।

মফস্বল সাংবাদিকদের অনেকেই বলছেন এসব কারণে অনেক সাংবাদিক সাংবাদিকতার বাইরেও অন্য ক্ষেত্রে নিজেদের জড়িয়ে ফেলছে। ফলে তার কাজের ঝুঁকিও বাড়ছে।

সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করে এমন ইউনিয়নগুলোও রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে বিভক্ত। এই যদি পরিস্থিতি হয় তাহলে সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো অধিকার রক্ষায় কতটা কাজ করতে পারছে?

বাংলাদেশে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভুঁইয়া মনে করেন নানা ‘সীমাবদ্ধতা’ সত্ত্বেও সাংবাদিক ইউনিয়নগুলো সবসময় নির্যাতিত সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

অনেক ক্ষেত্রে নিয়োগপত্র এবং মাসিক বেতনের নিশ্চয়তা না থাকলেও খবর পাঠানোর চাপ ঠিকই থাকছে মফস্বল সাংবাদিকদের উপর।

ফলে খবরের পেছনে যখন সাংবাদিক ছুটছেন তখন অনেক সময় নিজের নিরাপত্তার দিকে নজর দেবার সুযোগ থাকে না তাদের। পরিস্থিতি মোকাবেলার কোন প্রশিক্ষণও নেই তাদের।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক শামীম রেজা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক শামীম রেজা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক শামীম রেজা মনে করেন, যেসব জায়গায় বা পরিস্থিতিতে সাংবাদিকরা সহিংসতা কিংবা অন্যকোন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন, সেসব জায়গায় সাংবাদিকদের নিজস্ব কিছু প্রস্তুতি থাকা উচিত।

“আমাদের একজন স্থানীয় সাংবাদিক হয়তো লেখার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, কিন্তু পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবেলা করতে হবে এবং কীভাবে ঝুঁকি এড়িয়ে চলতে হবে, সে প্রশিক্ষণ তার নেই,” বলছিলেন শামীম রেজা।

বিশ্লেষক এবং সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃস্থানীয়রা বলছেন, গত এক দশকে বাংলাদেশে টেলিভিশন, পত্রিকা এবং অনলাইনের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বাড়লেও মফস্বল সাংবাদিকদের স্বার্থ উপেক্ষিতই রয়ে গেছে।

শীঘ্রই পরিস্থিতির কোন পরিবর্তন হবে – এমন আশাও করেছন না মফস্বল সাংবাদিকরা।

Please Share This Post in Your Social Media

One response to “বাংলাদেশে মফস্বল সাংবাদিকতা কতটা ঝুঁকির?”

  1. Your enticle helped me a lot, is there any more related content? Thanks! https://accounts.binance.com/en/register?ref=P9L9FQKY

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 NewsTheme
Desing & Developed BY ServerNeed.com