সম্প্রতি ভোলা জেলার অতি পরিচিত খায়ের হাট বাজারের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের নিয়ে একাধিক পত্র/পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে, মাদক ব্যবসায়ীরা এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে, নড়েচড়ে বসছে প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব আলী আজম মুকুলও। সেসময় সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসন একাধিকবার অভিযান চালিয়েও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। অনুসন্ধানে ইয়াবা ব্যবসায়ী ও তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতাদের সম্পর্কে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
দৌলতখান উপজেলাধীন, দক্ষিন জয়নগর ইউনিয়নে মাদকসেবী ও বিক্রেতাদের প্রভাব সবচেয়ে বেশী বলে উল্লেখ করেছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানান, দক্ষিন জয়নগর ইউনিয়নের দুইবারের চেয়ারম্যান- আলমগীর হাওলাদারের এর ভাতিজা ও শফিক হাওলাদারের ছেলে সম্রাট দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। চেয়ারম্যান চাচার প্রভাব খাটিয়ে গত দশ বছর ধরে ইয়াবা বিক্রি করে সম্রাট কোটিপতি বনে গেছে। সম্রাট নিরাপদে মাদক সরবরাহের জন্য প্রেস এর লোগো সম্বলিত পালসার মোটরসাইকেল ব্যবহার করে বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।
অপর দিকে একই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য খলিল নিজেই ইয়াবার আরেক সম্রাট হিসেবে ইয়াবা রাজ্যে খ্যাতি অর্জন করেছে। মাদক ব্যবসায়ী সম্রাটদের দৌরাত্মে দিশেহারা এলাকার উঠতি বয়সী ছেলে মেয়েদের বাবা মাসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। তারা আক্ষেপ করে বলেন, এভাবে চলতে থাকলে অত্র এলাকা অতি শীগ্রই বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাবে।
ইয়াবা সম্রাটদের দৌরাত্মে অসহায় এলাকাবাসী আরোও জানান, যারা মাদক নির্মূল করবে বলে ভোটের আগে আমাদেরকে কথা দিয়েছিল, সেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও তাদের আত্মীয়স্বজন আজ (ইউপি-চেয়ারম্যান/মেম্বার) মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। ধীরে ধীরে মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিনত হচ্ছে ভোলা জেলা।
ভোলা জেলার তিনটি থানার সমন্বয়ে ঐতিহ্যবাহী খায়ের হাটের বাজার ও তার আশপাশে বসছে মাদক ক্রেতা/বিক্রেতাদের জমজমাট আসর। মাদকের ভয়াল ছোবলে ধ্বংস হচ্ছে পরিবার, সমাজ তথা দেশ। বাড়ছে নানা মাত্রার অপরাধ। যুবক-যুবতী থেকে শুরু করে কিশোর-কিশোরীরাও মাদকাসক্ত হয়ে ভয়ঙ্কর অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। মাদকের অর্থ সংগ্রহ করতে গিয়ে ভয়ঙ্কর অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে কিশোর অপরাধীরা।
Leave a Reply