কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের শিক্ষার্থীরা ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান আলী রেজওয়ান তালুকদার স্যারের বিরুদ্ধে আনিত ষড়যন্ত্র মুলক অভিযোগের প্রতিবাদে মানববন্ধনের ডাক দেয়।

বিজ্ঞাপন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধনে ইংরেজি বিভাগের সকল শিক্ষার্থীদের সাথে অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাও সমবেত হয়ে স্যারের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিত অভিযোগের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করেন।

ইংরেজি বিভাগের ৯ম ব্যাচের শিক্ষার্থী টিপু সুলতান উক্ত মানববন্ধনের সঞ্চালনায় বলেন,”স্যারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটা ভিত্তিহীন,বানোয়াট একটা অভিযোগ। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে এতোদিন ধরে আছি কখনও দেখি নি স্যারের কোন ধরনের বাজে অভ্যাস দেখি নি। স্যার কখনও সুন্দরী মেয়েদের ক্লাস প্রতিনিধি করেন নি। স্যারের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

বিভাগের ৯ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমরান বলেন,”জাতির পতাকা আজ খামছে ধরেছে শকুনেরা।যারাই দেশের উন্নয়ন করতে চায়, তাদের এভাবেই ধমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়। স্যার বিভাগে একজন সম্মানিত শিক্ষক তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ মানি না।

বিভাগের ১০ ব্যাচের শিক্ষার্থী নজরুল বলেন,”বিশ্ববিদ্যায়ের প্রতিটা শিক্ষক আমাদের মাথার তাজ। তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আমরা মানি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আসলে সেটা প্রতিরোধ করবো।

তারা আরও বলেন,তাদের শিক্ষক অপরাজনীতির শিকার হয়েছে।কিছু সুবিধাবাদী মহল স্যারের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে নিজেদের হিনো স্বার্থ উদ্ধার করার জন্য।তাদের প্রতিরোধ করার ঘোষনা দেন।

ইংরেজি বিভাগের ৮ম ব্যাচের (মাস্টার্স) শিক্ষার্থী ও লিভারেল মাইন্ডসের ভিপি হুমায়ুন তালুকদার বলেন,” স্যার আমাদের বিভাগের রত্ন। আমি ৬ বছর এই বিভাগে পড়াশোনা করছি কোন দিন শুনি নি স্যারে কোন বাজে কাজ সম্পর্কে, এখন হঠাৎ করে বাইরের একজন অভিযোগ করলেই তিনি কখনও অপরাধী হতে পারেন না। স্যার বিভাগে আসার পর সেশন জ্যাম অনেক কমিয়েছেন।ইংরেজি বিভাগের নাম উজ্জ্বল করেছেন। তাঁর সুনামে ঈষার্ণিত হয়ে এক মহল স্যারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমরা সবাই মিলে এই ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করবো ইনশাল্লাহ। তিনি,সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে স্যার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সমাধান প্রশাসনকে করার জন্য অনুরোধ করেন।

উল্লেখ্য, গত ১৫ জানুয়ারি (বুধবার) ইংরেজী বিভাগের অধীনে সন্ধ্যাকালীন স্নাতকোত্তর (ইএমএ) কোর্সের এক শিক্ষার্থী প্রোগ্রাম ডিরেক্টর এবং ওই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলের নিকট আলী রেজওয়ান তালুকদার স্যারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা দেন।