পদ্মা নদীর বুকে বাস্তবায়ন হওয়া প্রায় চার বিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে গেছে সিংহভাগ। মূল সেতু দেখা যাচ্ছে অর্ধেকের বেশি। প্রতি মাসে গড়ে তিনটি করে উঠছে দেড়শ মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যান। কিন্তু, সপ্তাহ দুয়েক আগে, চীনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষকে।
এই প্রকল্পের প্রধান দুই অংশ বাস্তবায়ন করছে চীনা প্রতিষ্ঠান মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি এবং সিনোহাইড্রো। যারা সেদেশ থেকে নিয়ে এসেছে হাজার খানেক কর্মী। সম্প্রতি চীনে নতুন বছরের ছুটি কাটাতে তাদের সিংহভাগই যান সেদেশে। এরই মধ্যে ফিরেও এসেছেন কয়েকজন। কিন্তু, দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। যা নিয়ে সেতু বিভাগের সাথে জরুরি সভাও করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো।
এখনো নদীর বুকে বসাতে হবে, ৬টি খুঁটি বা পিয়ার। যেজন্য সময়সীমা, আগামী এপ্রিল। তাছাড়া, নদী শাসনের কাজও বাকি এক তৃতীয়াংশের বেশি। কিন্তু, এখনো শ দুয়েক কর্মী চীনে থাকায়, প্রত্যাশা অনুযায়ী এগুচ্ছে না কাজকর্ম। তাছাড়া, ৩২ জনকে বিশেষ ব্যবস্থায় রাখার কারণে, তারাও সরাসরি অংশ নিতে পারছেন না মাঠ পর্যায়ের কাজে। ফলে, খানিকটা হলেও গতি হারিয়েছে পদ্মা প্রকল্প। এমন অবস্থায়, এই সঙ্কট দীর্ঘায়িত হলে দুশ্চিন্তা বাড়বে সেতু বিভাগের।
পদ্মা ছাড়াও, বিদ্যুৎ, সড়কসহ আরো বেশ কয়েকটি বড় প্রকল্পে কাজ করছেন বহু চীনা নাগরিক।
Leave a Reply