সাজেদুর রহমান জাহিদ, রাজশাহীঃ- দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে নিশ্ক্রয় অবস্থায় রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের পর রাকসু নির্বাচনের ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নির্বাচন নিয়ে প্রশাসনের কোন যোর তাগিদ না থাকায় নির্বাচন অনিশ্চয়তার দিকে চলে এগুচ্ছে। নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার পাশাপাশি কবে নাগাদ নির্বাচন হবে এর কোন সঠিক সময় বের করতে পারেনি প্রশাসন। এক যুগ ধরে চলছে রাকসু সংলাপ। নির্বাচন হবে কিনা-এ নিয়ে আধারের মধ্যে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্র সংগঠনগুলো। তবে এই নিয়ে প্রশাসন বলছে, নির্বাচন দেওয়ার মতো পরিবেশ এখনো হয়নি।তবে চেষ্টা চলছে।
অন্যদিকে, ছাত্র রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর অভিযোগ, বর্তমানে ক্যাম্পাসে স্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। যে প্রক্রিয়ায় প্রশাসন নির্বাচন আয়োজনের কার্যক্রম পরিচালনা করেছে তাতে আদৌ নির্বাচন দেওয়া সম্ভব হতো কিনা তারা সন্দিহান।
জানা যায়, ১৯৫৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ১৯৬২ সালে এটি যাত্রা শুরু করে রাকসু নামে। এখন পর্যন্ত ১৪ বার রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ অন্তর বলেন, রাকসু কার্যকর না থাকায় শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকারের কথা বলতে পারছে না। আমরা দীর্ঘদিন ধরে রাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছি নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত চালিয়ে যাবো।
রাবি শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলন বলেন, রাকসু সংলাপ কমিটি গঠনের প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও নির্বাচনের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাই নি। দ্রুত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাণচঞ্চল ও গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস চলমান করার দাবি জানাচ্ছি।
রাকসু সংলাপ কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাণের দাবি রাকসু নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি সংলাপ কমিটি গঠন করে। আমরা ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর সাথে আলোচনা। সবাই রাকসু নির্বাচন চায়। আমরা হল প্রাধ্যক্ষদের সঙ্গেও কথা বলেছি। অধিকাংশ প্রাধ্যক্ষই আবাসিক হলে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই বলে মত দিয়েছেন।
‘ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ নেই’- প্রশাসনের এমন দাবির প্রেক্ষিতে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, বিগত বছরগুলোতে ক্যাম্পাসে মৌলবাদী ছাত্র শিবিরের যেরকম প্রভাব ও অস্থিরতার মধ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের থাকতো এখনতো সেটা নেই তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না এটা ঠিক নয়।
Leave a Reply