নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহীর পুঠিয়ায় করোনা প্রতিষেধক গুজবে উধাও রিকোনিল ট্যাবলেট। উপজেলার বিভিন্ন ওষুদের দোনে ম্যালেরিয়া ও রিউমেটিক আর্থ্রইাটিস রোগে ব্যবহৃত রিকোনিল (২০০ মি. গ্রাম) ট্যাবলেট এসব রোগের রোগিরা বিভিন্ন ওষুদের দোকানে ঘুরে এ ট্যাবলেট না পেয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন কার্যকর বলার পর থেকে উপজেলার ওষুধের ফার্মেসী থেকে নিমেষেই হাওয়া হয়ে যায়।
দেশের অন্যতম ওষুধ কোম্পানি ইনসেপটা এ ওষুধটি তৈরি করে বাজারজাত করে থাকে। এ বক্স অর্থাৎ ৩০পিস ট্যবলেটের মূল্য ৩৬০ টাকা। হঠাৎ এ ওষুধের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সুযোগ বুঝে সক্রিয় হয়ে উঠেছে এক শ্রেণী কালোবাজারিরা। উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটের ফার্মেসীর দোকানিদের সাথে কথা বলে জানান যায়, রিকোনিল ওষুধটি মূলত ক্লোরোকুইন ফসফেট ম্যালেরিয়া, প্রফিল্যাক্সিস এবং ম্যালেরিয়া দমন, অ্যামিবিক হোপাটাইটস এবং ফোড়াঁ, ডিসঅকয়েড এবং সিস্টেমিক ও সিস্টেমিক লুপাস এরিথেথোসাস, রিউম্যাটিক আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসা নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। উপজেলার ওষুধ ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, গত কয়েক দিন থেকেই তার দোকানে হুমরি খেয়ে রিকোনিল ট্যাবলেট কেনার জন্য লোকজন ভিড় জমায়।
এ ট্যাবলেট বিক্রি কম হওয়ায় দোকানে আগে থেকেই কম ছিলো। যে কয়েক বক্স ছিলো মুহুর্তেই সেগুলি বিক্রি হয়ে যায়। বর্তমানে রিউম্যাটিক আর্থ্রাইটিসের রোগিরা এ ওষুধটি ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী খেয়ে থাকেন। এসব রোগিরা ওষুধটি না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন। এসব রোগিরা অক্ষেপ করে বলেন, আমাদের এ ওষুধটি ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র দেখে সল্প পরিসরে সরবরাহ করা উচিৎ। পুঠিয়া উপজেলার রিকোনি ট্যাবলেট প্রস্তুতকারী ইনসেপ্টা কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি মেহেদী হাসান জানান, উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটে এ ওষুধটি মাসে ১০ থেকে ১২ বক্স বিক্রি করে থাকি। বর্তমানে প্রায় কয়েক হাজার বক্স অর্ডার হয়েছে। কোম্পপানি থেকে ওষুধটির সরবরারহ বন্ধ রয়েছে।
Leave a Reply