সিডনিনিউজ ডেস্কঃ- করোনা ভাইরাসের নিশ্চিত চার জন রোগী থাকা সত্বেও গত ২০ মার্চ (বৃহস্পতিবার) নিউজিল্যান্ড থেকে আসা ‘রাবি প্রিন্সেস’ নামের একটি ভ্রমণ তরীকে সিডনির নিজস্ব বন্দরে ভীড়ানোর অনুমতি দেয় অস্ট্রেলিয়ান সরকার। এই ভ্রমণ তরীর ২,৬৪৭ জন যাত্রীকে নামার অনুমতি দেয়া হয় এবং ১,০০০ জন নাবিককে তরীতেই কোয়ারেন্টাইনেরাখা হয়।
যাত্রীদের মধ্যে আরো অনেকেই ছিল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।এরপর নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও গত ২২ মার্চ (শনিবার) অস্ট্রেলিয়ান সরকার বিশেষ ক্ষমতায় ৪টি ভ্রমণ তরীর ২,৭০০ যাত্রীকে সিডনিতে নামার অনুমতি দেয়। যাদের অধিকাংশই ছিল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী। বিশ্বের অন্য কোন দেশ এই ভ্রমণ তরীরগুলোকে তীরে ভীড়ার অনুমতি দেয়নি। জাতিকে করোনাভাইরাসের ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ার এই ভুল সিদ্বান্তের পর পরই বিভিন্ন মহল থেকে সোশ্যাল মিডিয়াতে তীব্র সমালোচনার ঝড় আসতে থাকে।
গত ২০ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ৬৪১ জন। আক্রান্তের মধ্যে ১২৯ জনই ছিল বিদেশ থেকে আসা। মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছ দুই হাজার পাঁচশতেরও অধিক এবং মৃত্যুবরণ করেছে নয় জন। এই হতাশাজনক ভুল সিদ্ধান্তের পর থেকেই তিনগুন হারে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে সিডনি এবং ‘নিউ সাউথ ওয়েলস্ স্টেট’। যেহেতু সিডনিতে এই ভ্রমণ তরীগুলোর যাত্রীদেরকে নামার অনুমতি দেওয়া হয়। নিউ সাউথ ওয়েলসে বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ১,০২৯ জন। গত ২৪ ঘন্টায় অস্ট্রেলিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৩০০ জন। অস্ট্রেলিয়ান সরকারের একটি ভুল সিদ্ধান্তের কারণে ঝড়ে যেতে পারে হাজারো প্রাণ।
‘একটি ভুল সিদ্ধান্তের কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যেতে পারে। আবার একটি ভালো সিদ্ধান্তে লক্ষ লক্ষ মানুষ বেঁচেও যেতে পারে’।
মোহাম্মাদ আব্দুল মতিন, সাংবাদিক
সম্পাদক: বিদেশবাংলা টুয়েন্টিফোরডটকম
সাধারন সম্পাদক, সিডনি প্রেস এন্ড মিডিয়া কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়া।
Very nice post. I just stumbled upon your blog and wanted to say that I’ve really enjoyed browsing your blog posts. In any case I’ll be subscribing to your feed and I hope you write again soon!