News Headline :
বোরহানউদ্দিনে গৃহ প্রদান উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ইউএনও”র সংবাদ সম্মেলন বোরহানউদ্দিনে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত রাজশাহীর পুঠিয়ার বানেশ্বর হাটে কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হলেও  উন্নয়ননের রেশ নেই  বোরহানউদ্দিনে রাতে ককটেল বিস্ফোরণ “এলাকায় আতঙ্ক আওয়ামী লীগ দেশ ছেড়ে পালায় না: বিএনপি নেতারাই পালিয়ে যায়।রাজশাহীর জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বোরহানউদ্দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হক চেয়ারম্যানকে পিটিয়ে জখম। বোরহানউদ্দিনে অবৈধ ট্রাক্টর কেড়ে নিলো আরমানের জীবন বোরহানউদ্দিনে জেলেদের মাঝে সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ বোরহানউদ্দিনে জমি দখল করতে সরকারি বরাদ্ধে নির্মিত বাজার ও মসজিদের টয়লেট ভেঙ্গে নিচ্ছে সাংবাদিকের কলমই পারে অপরাধীকে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিতে… প্রেসক্লাব সভাপতি অনু
পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি অনুসন্ধানে বিশেষ তদারকি সেল

পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি অনুসন্ধানে বিশেষ তদারকি সেল

পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি অনুসন্ধানে বিশেষ তদারকি সেল

কমিটি গঠন, মোকাম থেকে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে চলবে অভিযান ——–

 

মালিহা মুন্নিঃ

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও কর কমিশন বলছে দেশে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। বাজার ঘুরেও পাওয়া গেছে দাবির সত্যতা।

তারপরও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে গত ১০ দিন ধরে দেশের পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা চলছে।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকের পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পেঁয়াজের দাম কমার আশ্বাস দেয়া হলেও তা কমেনি।

এ অবস্থায় দাম বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানে মাঠে নামছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের বিশেষ তদারকি সেল।

অনৈতিকভাবে মূল্যবৃদ্ধির প্রমাণ পেলে জেল-জরিমানার হুশিয়ারিও দেয়া হয়েছে।

অধিদফতরের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের যুগান্তরকে বলেন, পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার পর আমরা তদারকি শুরু করেছি।

বাজারে ঝটিকা অভিযান অব্যাহত আছে। সেখানে দেখেছি, বাজারে পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই। বিক্রেতারা ভারতের পেঁয়াজ রফতানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের বাজারে দাম বাড়ার কথা বলেছে।

হঠাৎ এমন মূল্যবৃদ্ধির কারণ জানতে অধিদফতরের পক্ষ থেকে আমিসহ নয় সদস্যের একটি তদারকি সেল গঠন করা হয়েছে।

সেলের বাকি সদস্যরা হলেন- অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আতিয়া সুলতানা, মাসুম আরিফিন, আফরোজা রহমান, মো. আবদুল জব্বার মণ্ডল, ইন্দ্রানী রায়, তাহমিনা আক্তার, রজবি নাহার রজনী ও মাগফুর রহমান।

তিনি বলেন, সেলের সদস্যরা দু-একদিনের মধ্যে অভিযান পরিচালনা শুরু করবে। বিশেষ অভিযানের ক্ষেত্রে মোকাম থেকে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে অভিযান চলবে।

সেখানে দাম বৃদ্ধির চিত্রে কোনো ধরনের অনিয়ম পেলে ভোক্তা আইনের আওতায় জেল ও জরিমানাসহ কঠোর শাস্তি দেয়া হবে। আশা করি, অভিযানের মধ্য দিয়ে দাম কমে আসবে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের খুচরা ও পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতারা যুগান্তরকে বলেন, ভোক্তা অধিদফতরের অভিযান খুবই দরকার।

এ অভিযান আরও আগে করা উচিত ছিল। কারণ যেদিন থেকে ভারতে পেঁয়াজের আমদানি মূল্য বৃদ্ধি করা হল ঠিক সেদিন কি করে দেশের বাজারে পণ্যটির দাম বাড়ে?

দাম বৃদ্ধি করা পেঁয়াজ মোকামে এনে পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতেও কম কমপক্ষে তিন থেকে চার দিন সময় লাগবে। তারা বলেন, সবই হচ্ছে মোকাম মালিকদের কারসাজি।

তারা দাম বাড়ার অজুহাত দেখিয়ে কম টাকায় কেনা মজুদ করা পেঁয়াজ পাইকারদের কাছে বেশি দরে বিক্রি করেছে।

যার প্রভাবে পাইকারিসহ খুচরায় এক দিনের ব্যবধানে দাম বেড়ে গেছে। ব্যবস্থা নিতে হলে আগে মোকাম মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজের মার্কেট হিসেবে খ্যাত হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিছ জানান, সোমবার তারা পাইকারি বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি বিক্রি করেছেন।

মঙ্গলবার বিক্রি করেছেন ৫৫ টাকা দরে। মিয়ানমারের পেঁয়াজ আসার পর দাম কিছুটা কমতির দিকে। তবে এখনও রাজধানীতে বেশি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। মনিটরিং করলেই দোষীদের বের করা যাবে।

জানতে চাইলে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, সব পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা অতি মুনাফা করার সুযোগ খোঁজে। একটু অজুহাত পেলেই বেশি টাকা মুনাফা করে।

এতে ক্ষতি হয় ভোক্তার। ভারতে দাম বেড়েছে, এ খবর শুনেই দেশের ব্যাবসায়ীরা পেঁয়াজ মজুদ থাকা সত্ত্বেও দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে করণীয় ঠিক করতে সরকারি বিভিন্ন দফতর, আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন।

এরপর তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। শিগগিরই বাজারে এর দাম কমে আসবে। বর্তমানে পেঁয়াজের মজুদ সন্তোষজনক। কিন্তু বৈঠকের পরও বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেনি।

বৈঠকে কর কমিশনের সদস্য শাহ মো. আবু রায়হান আলবিরুনী বলেন, পেঁয়াজ সিজনাল এবং পচনশীল হওয়ার কারণে আমদানি করতে হয়। আমাদের চাহিদা ২৪ লাখ টন।

উৎপাদনও প্রায় ২৪ লাখ টন। কিন্তু পচনের কারণে সাড়ে ৭ লাখ টন নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য আমরা ১০-১১ লাখ টন আমদানি করি। তিনি বলেন, ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১২ লাখ টনের এলসি নিষ্পত্তি হয়।

রাজধানীর খুচরা বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ৭৫-৮০ টাকা দরে।

সাধারণ মানের দেশি পেঁয়াজ ৭০-৭২ টাকা, আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনিক বাজার মূল্য তালিকায় দেখা গেছে, এক মাসের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৮২ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

সূত্রঃ- জুগান্তর 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 NewsTheme
Desing & Developed BY ServerNeed.com