আব্দুর রহিম হাওলাদারঃঃ- ২০২০-২১ অর্থবছরে বাজেটে মোবাইলের কথা বলা ও ইন্টারনেটে বাড়তি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। বাজেট পাসের আগেই তা কার্যকর করা হয়েছে। বিষয়টি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) দৃষ্টিগোচড় হলে তারা অপারেটরদের চিঠি দিয়ে এর কারণ জানতে চেয়েছেন।
২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সিম ও রিম কার্ড সম্প্রর্কিত সকল সেবার উপর সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে কেউ যদি ১০০ টাকা ফোনে রিচার্জ করেন, তাহলে ৭৫ দশমিক ৩ টাকার সেবা নিতে পারবেন। বাকি ২৪ দশমিক ৯৭ টাকা যাবে কেটে নেবে সরকার। এদিকে বাজেট পাস হওয়ার আগেই বর্ধিত কর কর্তন শুরু হয়েছে।
১১ জুন বিকাল তিনটায় সংসদে বাজেট উত্থাপন করা হয়। ১১ জুন দিবাগত রাত ১২ টা থেকে বর্ধিত কলরেট চালু হয়েছে।
এদিকে বাজেট পাসের আগেই মোবাইল ফোনে কথা বলার উপর বার্ধিত শুল্ক চালুর প্রসঙ্গে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, ১১ জুন মধ্যরাত ১২টা থেকে সব ধরনের মোবাইল সেবার ওপর নতুন এসডি হার কার্যকর করা হয়েছে। এ বিষয়ে সকল প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে।
বাংলালিংকের সিইও এরিক অস বলেন, ‘আমাদের গ্রাহকরা ইতোমধ্যেই উচ্চ করের বোঝা বহন করে টেলিকম সেবা গ্রহণ করছেন। এই পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করার ফলে স্বল্প আয়ের গ্রাহকদের প্রভাবিত করবে।’
মোবাইল কলরেটে যে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে তাতে সাধারণ মানুষের তেমন ক্ষতি হবে না বলে দাবি করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
তিনি বলেন, ‘আমাদের একটা সমস্যা হচ্ছে কত শতাংশ বাড়ানো হলো সেটা বিবেচনা না করেই এর বিরোধিতা করা হয়। মাত্র ৫ শতাংশ শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘বাজেট প্রস্তাবের সঙ্গে সঙ্গে বর্ধিত কলরেট বাড়ানো শুরু হয়েছে এটা নিয়ম অনুয়ায়ীই হয়েছে।’
Your article helped me a lot, thanks for the information. I also like your blog theme, can you tell me how you did it?