নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহীর পুঠিয়ার বানেশ্বরের ভূমি অফিসের পুকুরটি এখন ময়লার ভাগাড়। বানেশ্বর ভূমি অফিসের পাশ দিয়ে রয়েছে উপজেলার একমাত্র বানেশ্বর সরকারী কলেজসহ পাশ্ববর্তী খুঁটিপাড়া যাওয়ার সংযুক্ত সড়ক।
পুকুরটির এ পাশেই রয়েছে বাঁধাই করা ঘাট। তবে রক্ষনাবেক্ষন আর অযত্নে-অবহেলায় দৃষ্টিনন্দন পুকুরটি এখন পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে। কাঁচারি পুকুর নামে পরিচিত এক ১ দশমিক ৮৭ একর জায়গায় এই পুকুরটি এক সময় এলাকাবাসী ও বানেশ্বর সরকারী কলেজের হোস্টেলের শিক্ষার্থীরা ওজু গোসলসহ রান্নাবান্নার কাজে ব্যবহৃত হতো এর পানি। সকাল সন্ধা পুকুরের বাঁধাই করা ঘাটে একটু বিস্রাম করতো হাটে আগত ও আশেপাপশের এলাকার আনেক মানুষ। একসময় নিত্যদিনের কর্মকান্ড ছাড়াও আশেপাশের এলাকার শিশুদের সাঁতার শেকানো হতো এখানে।
গত কয়েক বছর ধরে নষ্ট্ হয়েছে পুকুরটির পরিবেশ। হাটের বর্জ্যরে ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে পুকুরটি। এলাকার পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর করে তুলছে। পুকুরটি ভরাট্ হয়ে ছোট হয়ে আসছে। পানি দুষিত হয়ে নানা প্রকার মাছ বিলুপ্ত হচ্ছে। শনিবার (২০ জুন) সরেজমিনে দেখাগেছে, পুকুরটির পশ্চিম উত্তর কোনায় ফেলা হচ্ছে হাটের, হোটেলের মানুষের খাবারের উচ্ছিষ্ট, পচাবাশি খাবার, ফলের দোনানের ময়লা-আবর্জনা ও হাটের সকল ধরনের বর্জ্য। দেখার কেউ নেই। হাট ব্যবস্থপনা কমিটির অবহেলায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে এলাকার হাটে আগত ও আশেপাশের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ।
প্রতিদিন এই দুর্ঘন্ধ সহ্য করে তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানের সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে পুকুটির আশে পাশের গড়ে উঠা আমের আড়তদারেরা। পুকুর পাশের আড়তদার ও ব্যাবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাজশাহীর বানেশ্বর আমের হাটের জন্য বিখ্যাত। আমরা প্রতিদিন এখানকার দুর্গন্ধ সহ্য করে কাজ করছি।
হাট কমিটি ও এখানে বর্জ্য ফেলতে আসা সবাইকে বলেও কোন লাভ হয়না। এছাড়াও হাটের মুরগি ও মাছ, মাংস হাটায় একই অবস্থা। সেখানে ডাসবিন থাকলেও অনেকেই তা ব্যবহার করেছেনা। মাছ, মাংস ও মুরগি হাটার বর্জ্য গুলো আশেপাশের ফাঁকা জায়গায় ফেলা হচ্ছে। সেখানকার পরিবেশ দুর্গন্ধময় হয়ে উঠছে।
পুকুরটি পরিস্কার করে এবং হাটের বর্জ্য সংগ্রহ করে অন্যত্র ফেলে পুকুরটির আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী ও হাটের ব্যবসায়ীরা। বানেশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও হাট ইজারা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী সুলতান বিষয়টি স্বীকার করে জানান, জায়গাটি ভূমি অফিসের। তারা বিষয়টি দেখলেই তো পারে। এ ব্যাপারে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওলিউজ্জামান, খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন।
Leave a Reply