বিশেষ প্রতিনিধি॥ ভোলা পৌর কাঠালীর ৮নং ওয়ার্ডে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রভাব খাটিয়ে বসত ভিটাসহ বাগান বাড়ী যবর দখল করে নিচ্ছে এক প্রাইমারী শিক্ষক। ভূক্তভোগীরা সাংবাদিক দের ক্যামারার সামনে অভিযোগ করে জানান, পৌর কাঠালী ৮নং ওয়ার্ডের হ্যালিপ্যাড সংলগ্ন মৃত আবদুল খালেকের ওয়ারিশগন কাঠালী মৌজায় প্রায় ৭০ বছর যাবৎ ঘর দরজা, পুকুর বাগান বগীচা সৃজন করে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখল কর আসছিল। কিছু দিন পূর্বে ওই ভোগ দখলীয় জমির উপর লোলুপ দৃষ্টি পরে স্থানীয় ভূমিদস্যু চক্রের মূল হোতা মৃত আবদুর রব নিস্তারের ছেলে প্রাইমারী শিক্ষক ইমরান ও তার চাচ কথিত অবসরপ্রাপ্ত সচিব অবদুল মান্নানের। বিগত দিনে ইমরান ও তার চাচা মান্নান খালেক গংদের তাদের ভোগ দখলীয় জমি হতে সমুলে উৎখাত করার জন্য মামলা হামলাসহ বিভিন্ন সড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকে। একটা সময় তাদের অত্যাচারে বাড়ী ছাড়তে হয়েছে খালেকের ২ ছেলে বাবুল ও লিটনকে।
এ সুযোগে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে ভূমিদস্যু ইমরান ও তার চাচা আবদুল মান্নান। তারা কোন ভাবেই খালেকের অন্য ওয়ারিশদের এলাকা ছাড়া করতে না পেরে গত ২৭ জুন ২০২০ ইং তারিখ সকালে এলাকার একটি প্রভাবশালী চক্র ও লাঠিয়াল বাহিনীদের টাকার বিনিময়ে ভাড়া করে খালেক গংদের ফলানো বাগানের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কাটা শুরু করে। এসময় আবদুল খালেকের মেয়ে নাজমুন নাহার মুন্নি ও তার মা হালিমা খাতুন, বাঁধা প্রদান করলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন যায়গায় ফুলা জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অন্যদিকে প্রাইমারী শিক্ষক ইমরান তার ভাড়াটে লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে খালেক গংদের লাগানো প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে বাগানটি নিধন করে দেয়। বর্তমানে ইমরান অবৈধ ভাবে খালেকের ওয়ারিশদের জায়গায় একটি বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ কাজ অব্যহত রেখেছে। কিন্তু জমির কাগজপত্র পর্যালোচনা ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, বাউন্ডারীর ভিতরের পুরো জায়গাটি খালেক গংরা দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারি খাজনাপাতি ও কাগজপত্র ঠিক রেখে ভোগ দখলে বিদ্যমান ছিল। এ ব্যাপারে বিভিন্ন সূত্রে আরো জানাগেছে, প্রাইমারি শিক্ষক ইমরানের বাবা ছিল একজন ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা। ৭১ সালে সে পাকিস্থানের হানাদার বাহিনীর সক্রিয় দোষর হিসেবে কাজ করেছিল। যুদ্ধের পর তাকে ভোলার মানুষ রাজাকার হিসেবে উপাধি দিয়েছিল। সে ভোলার ট্রেজার লুটসহ ততকালিন বিভিন্ন ডাকাতি মামলার আসামী হয়ে ১০ বছরের অধিক সময় জেল খেটেছিল। সময়ের বিবর্তনে সে টাকা পয়সা খচর করে অবৈধ ভাবে মুক্তি যোদ্ধার সার্টিফিকেট কিনে ভোলায় মুক্তি যোদ্ধা পরিচয়দিয়ে সরকারি বিভিন্ন সুবিধা লুফে নিতে থাকে চতুর অবদুর রব নিস্তার। তার মৃত্যুর পর এ সুযোগটি কাজে খাটায় তার মাদক আশক্ত বখাটে ছেলে ইমরান হোসেন। বাবার ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেটের বদৌলতে ইমরানের চাকুরি হয় ভোলার একটি প্রাইমারী স্কুলে। এর পর থেকে ইমরান হয়ে যায় আরো বেপরোয়া। বর্তমানে এলকার মনুষকে সে মানুষ বলেই গন্য করে না । তার চাচা মন্নান, চাচাতো ভাই রাকিব ও স্ত্রীর ভাইদের সাথে নিয়ে এলাকায় গড়ে তোলে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। এ বাহিনীর সদস্যরা বর্তমানে সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে লুফে নিচ্ছে মৃত অবদুল খালেকের নিরিহ ছেলে মেয়েদের বসত ভিটা, বাগান-বাগীচা, পুকুর ও ফসলিয় জমি। এমতাবস্থায় শত চেষ্টা করেও খালেক গংরা মোকাবেলা করতে পারছে না এ চিহ্নিত সন্ত্রাসী ভূমিদস্যুদের। ইমরান সম্পর্কে আরো জানাগেছে, সে অতি সহজে সকারি চাকুরি পাওয়াতে মুক্তিযোদ্ধা ছেলে পরিচয় দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে স্কুলে নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছে না কোমোলমতি শিশুদের। স্কুল চলাকালীন তাকে অধিকাংশ সময়ই দেখা যাচ্ছে এলাকার মাদকাশক্তদের সাথে আড্ডায় লিপ্ত রয়েছে। অন্যদিকে সে বাড়ীতে বাসে মাসে মাসে তুলি নিচ্ছে সরকারি বেতন। বর্তমানে খালেক গংদের ওয়ারিশগনরা তাদের ভোগ দখলিয় বসত ভিটা হাড়িয়ে সু-বিচারের দাবীতে পথে পথে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। ভূক্তভাগীদের সূত্রে আরো জানাগেছে, এ জিমিটি নিয়ে প্রায় ৩০ বছর যাবৎ আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। অন্যদিকে ইমরানদের ভূমি দখলের পায়তাড়া দেখে কিছু দিন আগে অবদুল খালেকের স্ত্রী হালিমা বেগম আদালতে আরো একটি মামলা করেন। মহামান্য আদালত এ মামলার ভিত্তিতে উল্লেখিত জমির উপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করেন। যথা সময়ে এ আদেশ টি ভূক্তভোগীরা ভোলা সদর থানায় ও স্থানীয় গন্যমন্যদের হাতে পৌছালেও এ পর্যন্ত কেউ এগিয়ে আসেনি এতিম সন্তানদের ভোগ দখলিয় বসত ভিটা রক্ষা করতে। জানা গেছে চতুর ইমরান বিভন্ন মহলে নগদ টাকা ছিটিয়ে তাদের মুখ বন্ধ করে একক অধিপত্য বিস্তার করছে ওই বাড়ীতে। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন, ভূক্তভোগী আবদুল খালেকের স্ত্রী ও এতিম সন্তানেরা।
Leave a Reply