সাজেদুর রহমান জাহিদ, রাজশাহী : রাজশাহীতে জমে উঠেছে গরু ও ছাগলের হাট। ঈদুল আজহার আর ১০ দিন বাঁকি। এরমধ্যেই জমে উঠতে শুরু করেছে রাজশাহী অঞ্চলের পশুর হাটগুলো। হাটগুলোতে গরু-ছগলের সংখ্যা অনেক বেশি হলেও ক্রেতাদের সংখ্যা কম। কোরবানী দেয়ার ইচ্ছা থাকলেও করোনার ভয়ে হাটে আসতে চাচ্ছে না। ফলে পশু বেচা-কেনাও অন্যসব বছরের চেয়ে কম হচ্ছে।
পুঠিয়ার বানেশ্বর হাটের এক ইজারাদার জানান,এই উপজেলায় দিন দিন কারোনার সংক্রামনের হার বেড়ে যাওয়ায় হাটে ক্রেতা কম আসছে। কোরবানী ঈদ উপলক্ষ্যে ছোট-বড় অনেক খামারীরা পশু হাটে উঠাতে শুরু করেছেন। ক্রেতা কম থাকায় বেচা-কেনা কম হচ্ছে। ঈদে বাড়তি বিক্রি যেটা হয় এ বছর এখন সে রকম হচ্ছে না। প্রতি বছর কোরবানীর কয়েক সপ্তহ আগে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা এসে পছন্দের গরু-ছাগল কেনে থাকতেন কিন্ত চলতি বছর একটু ব্যতিক্রম। কারোনার প্রভাবে পাইকারেরাও এবার আসছেনা। এতে বড় লোসানের শস্কায় খামারীরা।
রাজশাহীর সিটির হাটে গরু বিক্রেতারা জালাল উদ্দিন জানান, গো-খাদ্যের দাম বাড়াই গরু পালনে খরচও বেশি হয়েছে। খরচ বাদে সামান্য লাভ পেলেই তারা গরু ছেড়ে দিবেন। তবুও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না।
গত কয়েক বছর ধরে ভারতীয় গরু কম আসায় দেশি গরুর চাহিদা বেশি ছিল । শুধু তাই না, কয়েক বছর ধরে খামারিরা লাভবানও হয়েছে। অনেকেই বাড়িতে ছোট আকারের খামারও তৈরি করেছেন লাভের আশায়। কিন্তুু এবার সে লাভের আশা ছেড়েই দিয়েছেন খামারীরা।
সরেজমিন সিটি বাইপাস, চৌবাড়ীয়া, কাঁকনহাট এবং সোমবার মুণ্ডুমালা পশু হাট ঘুরে দেখা গেছে, গরু ও ছাগলের শরীরের মাংস অনুযায়ী অনেক কম দাম হাকানো হচ্ছে। এর পরেও ক্রেতা খুব কম। করোনার প্রভাবে কর্মহীন অনেক মানুষ, এছাড়াও গ্রামের আমন রোপন মৌসুম চলছে। সেখানেও খরচ করে ফেলছে কৃষকেরা। এছাড়া বন্যা শুরু হয়েছে অনেক জেলায়। আর এসব কারনেই গত বছরের তুলনায় এবছর কোরবানি কম হবে বলে বিজ্ঞ মহলের ধারনা।
Leave a Reply