নোটিশ :
জরুরী ভিত্তিতে সারাদেশে বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান, জেলা, উপজেলা, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ পর্যায়ে সাংবাদিক নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীগণকে সিভি, জাতীয় পরিচয়পত্রের স্কান কপি ও সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবির সাথে নিজের লেখা একটি সংবাদ ই-মেইলে পাঠাতে হবে। ই-মেইল :sidneynews24@gmail.com
শিরোনাম :
বোরহানউদ্দিনে গৃহ প্রদান উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ইউএনও”র সংবাদ সম্মেলন বোরহানউদ্দিনে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত রাজশাহীর পুঠিয়ার বানেশ্বর হাটে কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হলেও  উন্নয়ননের রেশ নেই  বোরহানউদ্দিনে রাতে ককটেল বিস্ফোরণ “এলাকায় আতঙ্ক আওয়ামী লীগ দেশ ছেড়ে পালায় না: বিএনপি নেতারাই পালিয়ে যায়।রাজশাহীর জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বোরহানউদ্দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হক চেয়ারম্যানকে পিটিয়ে জখম। বোরহানউদ্দিনে অবৈধ ট্রাক্টর কেড়ে নিলো আরমানের জীবন বোরহানউদ্দিনে জেলেদের মাঝে সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ বোরহানউদ্দিনে জমি দখল করতে সরকারি বরাদ্ধে নির্মিত বাজার ও মসজিদের টয়লেট ভেঙ্গে নিচ্ছে সাংবাদিকের কলমই পারে অপরাধীকে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিতে… প্রেসক্লাব সভাপতি অনু বোরহানউদ্দিনে শীত বস্ত্র বিতরণ করলেন ব্লাড ডোনার্স ক্লাব বোরহানউদ্দিনে সাংবাদিকের উপর প্রকাশ্য হামলা” ক্যামেরা ভাঙচুর বোরহানউদ্দিনে প্রকাশ্য বসতঘর দখল”তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ভিক্টিমসহ সাংবাদিকদের উপর হামলা প্রথম দিনেই টিকিট বিক্রির মেশিনে ত্রুটি, আটকে গেল টাকা বালিয়াকান্দিতে নারীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ কঁচি ইচ্ছের বাগান – সৈয়দ মুন্তাছির রিমন মঙ্গলগ্রহে ৪৬ ফুট উঁচুতে উড়ে রেকর্ড রিজার্ভ থেকে ডলার চায় এফবিসিসিআই টুইটারের সিইওর পদ ছাড়ছেন ইলন মাস্ক ব্যালন ডি’অরে মেসিই ফেভারিট, লেভার স্বীকারোক্তি
হার্টের সুরক্ষায় চাই সবার অঙ্গীকার

হার্টের সুরক্ষায় চাই সবার অঙ্গীকার

হার্টের সুরক্ষায় চাই সবার অঙ্গীকার

  অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস

২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর হার্ট দিবসের থিম বা প্রতিপাদ্য হল- মাই হার্ট, ইওর হার্ট। বাংলায় বলা যায়, ‘আমার হৃদয়, তোমার হৃৎপিণ্ড’। এবার বিশ্বব্যাপী হার্ট-হিরো বা হৃদয়-বীরদের কমিউনিটি গড়ে তোলার ওপর জোর দেয়া হচ্ছে।

যারা সুস্থ ও কর্মক্ষম রয়েছেন, যাদের হার্টের কোনো সমস্যা নেই এবং যারা নিকটজন ও বিশ্ববাসীর কাছেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হার্ট সুস্থ রাখার বিষয়ে তারাই হবেন এ বিশ্ব কমিউনিটির হার্ট-হিরো। প্রথমেই জোর দেয়া হয়েছে এ প্রশ্নের ওপর যে, আমার এবং আমাদের নিকটজনদের বা ভালোবাসার মানুষদের হার্ট সুস্থ রাখার জন্য এ মুহূর্তে আমরা কী পদক্ষেপ নিচ্ছি।

আমরা হার্ট ভালো রাখার জন্য কী কী প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। যে কারণে হার্ট অসুস্থ হতে পারে সেগুলো এড়িয়ে চলছি কিনা। যেমন ধূমপান এবং অতিরিক্ত রিচ ফুড খাওয়া- এগুলো আমরা বর্জন করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি কিনা আমাদের প্রিয়জনদের কাছে।

এবার সুনির্দিষ্টভাবে ৫টি অঙ্গীকার করার কথা বলা হয়েছে। এগুলো হলো :

* পরিবারের জন্য অঙ্গীকার : রান্না ও খাদ্য যেন হয় আরও স্বাস্থ্যসম্মত

* সন্তানের জন্য অঙ্গীকার : শরীরচর্চার জন্য তাগাদা এবং ধূমপান বর্জনের আহ্বান

* স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য অঙ্গীকার : স্বাস্থ্যকর্মীরা যেন কারও কোলেস্টেরল বাড়তে না দেন এবং সব সময় ধূমপান ত্যাগ করার কথা বলেন

* নীতিনির্ধারকদের জন্য অঙ্গীকার : সুস্থ হার্টের পক্ষে তারা দেশের নীতি নির্ধারণ করবেন

* চাকরিদাতার জন্য অঙ্গীকার : কর্মস্থল তারা এমনভাবে তৈরি করবেন যেখানে হার্টবান্ধব পরিবেশ বিরাজ করবে।

মানসিক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, আবেগের আগ্রাসন, কাজের বাড়তি চাপ, জীবনযাপনের চাপ প্রভৃতি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। মানবজীবনে আকাক্সক্ষা বেড়ে যাওয়া, কাজকর্মে তাড়াহুড়ো, আধুনিক জীবনযাত্রায় নিত্যদিনের দুর্ভাবনা মানবদেহের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়ায় (কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম) প্রতিক্রিয়া ঘটায় বা প্রভাব ফেলে। হৃদযন্ত্রকে যদি অশ্বের সঙ্গে তুলনা করা হয় তবে মনকে বলতে হবে এর চালক বা অশ্বারোহী। জীবনের দৌড়ে যদি গতি বাড়ানোর কাজ করে মন, স্বাভাবিকভাবেই চাপ বাড়ে মনে এবং তার প্রভাবও পড়ে হৃদযন্ত্রে। আজকের মানুষ সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটছে। স্বাভাবিকভাবেই এর জন্য তাকে চড়া দামও গুনতে হচ্ছে। ফলস্বরূপ অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন হৃদরোগে। কোনোরকম পূর্বাভাস ছাড়াই যে কোনো সময় এটি কেড়ে নিতে পারে মানুষের জীবন। বেঁচে থাকার জন্য যেমন খাদ্যের প্রয়োজন পড়ে তেমনই রোগাক্রান্ত হলে প্রয়োজন চিকিৎসার। তাই হৃদরোগের চিকিৎসা হিসেবে প্রচলিত বহুলালোচিত দুটি পদ্ধতি বাইপাস ও স্ট্যান্টিং। এ দুটিই অপারেশন। এ দু’পদ্ধতির চিকিৎসা ব্যয়বহুল ও ঝুঁকিপূর্ণ। রোগী সুস্থও হচ্ছেন কিন্তু বেঁচে থাকতে হয় মুঠো মুঠো ওষুধ সেবন ও বিভিন্ন শারীরিক অক্ষমতা নিয়ে। তারপরও ভয় থাকে আবার রোগে আক্রান্ত হওয়ার। বিশ্বের এক নম্বর হন্তারক রোগ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে হৃদরোগকে। প্রতি বছর ১৭ দশমিক ৩ মিলিয়ন বা প্রায় পৌনে দু’কোটি মানুষ মারা যাচ্ছেন এ রোগে। অন্যদিকে ম্যালেরিয়া, এইচআইভি এইডস এবং যক্ষ্মা- এ তিনটি রোগ মিলে প্রতি বছর গোটা বিশ্বে মারা যাচ্ছেন ৩৮ লাখ মানুষ।

হৃদরোগ প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণের ওপরেই জোর দেন অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা। এজন্য পরিবারকে গুরুত্বপূর্ণ ধরা হয়। পরিবারের অভিভাবকবৃন্দ, বিশেষ করে নারীদের ভূমিকা এক্ষেত্রে বেশি। সন্তানদের ধূমপান থেকে বিরত রাখা, তাদের শারীরিক কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত করা, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় এমন খাবার (চর্বিযুক্ত খাদ্য, টিনজাত খাবার ইত্যাদি) এড়িয়ে স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যগ্রহণে উৎসাহিত করার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। নিয়মিত ব্যায়ামও হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে আনে। দৈহিক ওজন ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকখানি কমে আসে। বাংলাদেশের জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী, তাই হার্ট সুরক্ষার আন্দোলন ও তৎপরতার বাইরে নারীকে রাখা হলে সেটা হবে আত্মঘাতী। নীরব ঘাতক হৃদরোগ থেকে বাঁচতে হলে গোটা জীবনব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে।

বিশ্বের ১৯৪টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও পালিত হতে চলেছে বিশ্ব হার্ট দিবস। হার্ট দিবস পালন তখনই সার্থক হবে যখন দেশের অপেক্ষাকৃত কম বিত্তবান মানুষ হৃদরোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের আওতায় আসতে পারবে। এজন্য জাতিসংঘ সুস্থ জীবনযাপনের জন্য বিশেষত হার্ট সুস্থ থাকার জন্য বিকল্প চিকিৎসা হিসেবে যোগ ব্যায়ামকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়ে ২১ জুন দিনটিকে বিশ্ব যোগ দিবস পালন করছে।

তাই হৃদরোগের বিকল্প চিকিৎসার কথাটিও আমাদের স্মরণে রাখতে হবে। এ বিকল্প চিকিৎসাকে হলিস্টিক চিকিৎসা বলা হয়। হলিস্টিক চিকিৎসা হল আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রাচীনতম প্রাকৃতিক পদ্ধতির আশ্চর্য সমন্বয়। এ চিকিৎসার মূল চাবিকাঠি দুটি। স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়াম। রোগীর বয়স এবং রোগের ধরন এবং তার বর্তমান অবস্থার ওপরই নির্ভর করে তার প্রতিদিনের খাদ্যগ্রহণ। ব্যায়ামের ব্যাপারটি বিবিধ।

তার আগে মন নিয়ন্ত্রণের জন্য চাই সঠিক উপায়ে মেডিটেশন। মানসিক চাপই মানুষের অসুখ ও অশান্তির মূল কারণ। মানসিক চাপ কমানোর বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মহাজাগতিক শক্তি থেকে জ্যোতি বা প্রাণরস আহরণের কথাও বলা হয়ে থাকে। এসব অর্জনের কাজটি কিন্তু অত সহজ নয়। তার জন্য নিয়মিত সময় দিতে হয়, চর্চা করতে হয় সঠিক নিয়ম মেনে। যোগ ব্যায়াম, প্রাণায়াম, মেডিটেশন ও নিউরোবিক জিম- প্রত্যেকটিরই নিজস্ব রীতিনীতি আছে।

হলিস্টিক চিকিৎসায় সোল-মাইন্ড-বডি বা আত্মা-মন-দেহ সব কিছুর ওপরই লক্ষ রেখে প্রোগ্রাম দেয়া হয়। সংক্ষেপে বলতে পারি হলিস্টিক চিকিৎসা ইতিমধ্যে দেশে আস্থা অর্জন করেছে। গত দশ বছর ধরে দেশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে হাজার হাজার হৃদরোগীর জীবনে বাইপাস অপারেশন বা স্ট্যান্টিং বা রিং ছাড়াই সুবাতাস বয়ে এনেছে।

হার্টের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল বলে দেশের শতকরা ৯০ জনের পক্ষেই চিকিৎসা করান সম্ভব হয় না। তাছাড়া অধিকাংশ মানুষই থাকেন গ্রামে। সর্বত্র যোগাযোগের ব্যবস্থাও উন্নত নয়। ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেয়ার আগেই মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে থাকে। তাই ‘হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আগেই অ্যাটাক করুন হার্ট অ্যাটাককেই’। অর্থাৎ হার্টকে রাখুন সুস্থ ও সবল। এ লক্ষ্যেই কাজ করে আসছে হলিস্টিক হেলথ কেয়ার সেন্টার।

লেখক : হলিস্টিক হেলথ কেয়ার সেন্টার, পশ্চিম পান্থপথ, ঢাকা

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




এটি হাসনা ফাউন্ডেশনের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান, এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা,ছবি,অডিও,ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি । copyright© All rights reserved © 2018 sidneynews24.com  
Desing & Developed BY ServerNeed.com