তোর কবিতার প্রতিটি শব্দ মনের গহিনে
তান্ডব নৃত্য করে; খেই হারিয়ে ফেলি
যখন চেতন হয় তখন ভাবি
কোথায় ছিলি!
কেন তোর সাথে অমন করে আগে কথা হয়নি?
তোর সাথে কথা বলার পর পাল্টাচ্ছে
জীবনের প্রচল
প্রত্যুষে শিশির মাখা রোদের ঝিলিক
চুপচাপ অলস দুপুর
তোর কবিতার প্রতিটি শব্দের কাছে তুচ্ছ।
তুই কি জানিস?
তোর কবিতার জন্য ব্যস্ত নগরীও থমকে দাঁড়ায়!
বসন্তের আগমনি বার্তা শোনে
ইচ্ছে করে না
তোকে ছেড়ে চৈতালি উৎসবে যেতে।
তুই কি জানিস!
তোর জন্য-
কৃষ্ণচূড়ার ফুলগুলো ভুল করে
অসময়ে গাছের ডালে।
জীবনের মানচিত্রে মনের অক্ষাংশ খুঁজতে গিয়ে
কষ্টের দ্রাঘিমা চলে আাসে
সন্ধ্যাতারা দেখতে গিয়ে সপ্তর্ষীমন্ডল চোখে পড়ে
কাগজের নৌকা জোছনার প্লাবনে ভাসাতে গিয়ে
চিঠির ছেঁড়া খামের মতো ছুঁড়ে ফেলে দেই
জীবনের সব রঙ।
পুঁজিবাদী ফ্লোরে বসে মানবতার জয়গান করে
নিজেকে হারিয়ে ফেলি
হারিয়ে ফেলি হৃদয়ের সকল মুগ্ধতা।
তুই ও তোর কবিতার জন্য
সমস্ত পৃথিবীর বিরুদ্ধে বিপ্লবের ডাক
দিতে পারি,
বসাতে পারি চূড়ান্ত অনশন
কারণ, এমন করে কেউ কখনো বলেনি
ভালোবাসি তোকে
এমন করে কেউ কখনো কবিতা লিখেনি
যতন করে।।।।
© ahona nasrin
Leave a Reply