মন-আমার, বিরহের উনুনে পুড়ে পুড়ে
ধূসর নিদ্রায়।
অরক্ষিত স্মৃতি বড়ো এলোমেলো, এ ঘর-ও ঘর
পায়চারি করে।
কুষ্ঠ রোদে হারিয়ে যায় শ্রাবণের মেঘ
মুছে যায় চিবুকের সুক্ষ তিল
মন দুদুল্যমান।
তুমিহীন ঘোর অন্ধকার-পৃথিবী, অন্ধ দুই চোখ
জানি তুমি এক তৃষ্ণার নদী, স্বপ্ন করো লুট
তৃষ্ণা জাগাও, আবার স্বপ্ন দেখাও
কিছু না পাওয়ার বেদনায়
কাতর হয়ে-
চিরআঁধারে নিমজ্জিত মন- আমার।
বলতে পারো-
কতকাল আর কতটা সময় বেহিসেবী হলে
থামবে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ!
নিলাঞ্জনা নীল নীল পায়ে হাঁটবে নীল গালিচায়?
বলতে পারো-
কে শুনাবে ভাোরের গান, কে কুড়াবে শেফালি,
আর কে শুনাবে কবিতা?
কে গাঁথবে মালা? কে হবে বাগানের মালী?
তুমি বলো-
মনের কোন জানালাও কি খোলা নেই?
উঁকি দিয়ে দেখি-
প্রিয়ার-মনটা নীল আকাশের মতো!
নাকি ইট পাথরের মতো?
হয় যদি নীল আকাশ আমি হবো পাখি
হয় যদি পাথর তবে আমি হবো মাটি।।
Leave a Reply