প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মৌচাক-মগবাজার ফ্লাইওভারটি ২০১৭ সালের ২৬ অক্টোবর যান চলাচলের জন্য পুরোপুরি খুলে দেওয়া হয়। প্রথমদিকে সন্ধ্যা হলেই আলো ঝলমল করত ফ্লাইওভারটি। কিন্তু কয়েক দিন না যেতেই কয়েক দফা তার চুরি হওয়ায় পুরো ফ্লাইওভার জুড়ে অন্ধকার নেমে আসে। প্রায় আড়াই বছর ধরে আলোহীন রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এই ফ্লাইওভারটি।
এলজিইডি ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করলেও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে কে থাকবে তা নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ৮ নভেম্বর ফ্লাইওভারটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে বুঝিয়ে দেয় এলজিইডি। কিন্তু কাগজে কলমে বুঝিয়ে দিলেও আর্থিক বরাদ্দ না থাকায় রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কার্যত অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে ফ্লাইওভারটি। ফ্লাইওভারটির ওপর ধুলা, ময়লা এমনকি কোনো কোনো স্থানে এখন ঘাসও জন্ম নিয়েছে। অধিকাংশ সিগন্যাল অকার্যকর হয়ে পড়েছে। নিয়মিত ঘটছে দুর্ঘটনা। সবমিলিয়ে নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে ফ্লাইওভারটি। জানা যায়, ৮ দশমিক ৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ ফ্লাইওভারটির তিনটি অংশ রয়েছে। একটি অংশে সাতরাস্তা-কারওয়ান বাজার-মগবাজার-হলি ফ্যামিলি পর্যন্ত, আরেকটি শান্তিনগর মৌচাক হয়ে মালিবাগ চৌধুরীপাড়া পর্যন্ত এবং শেষ অংশটি বাংলা মোটর-মগবাজার হয়ে মৌচাক পর্যন্ত। উদ্বোধনের পর ফ্লাইওভারে থাকা বিদ্যুতের তার তিন দফা চুরি হয়ে যায়। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ২ মার্চ তার চুরির ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে আর বিদ্যুতের তার স্থাপন করেনি সংশ্লিষ্টরা।
সন্ধ্যা হলেই ফ্লাইওভারটি ঘুটঘুটে অন্ধকারে ঢেকে থাকে। গাড়ির নিজস্ব লাইট দিয়ে চলাচল করতে হয়। অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে সম্প্রতি এক ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালককে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ফ্লাইওভারের মৌচাক অংশের দুটি স্থানে পাঁচটি ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি লাগানো হয়েছিল। তার চুরির আগে সেগুলোতে আলো জ্বলতে দেখা গেছে, সিগন্যাল মোতাবেক যানবাহন চলাচলও করেছে। এখন তার চুরির পর মৌচাক অংশের ট্রাফিক সিগন্যাল চলছে নিজেদের মতো করে। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।
পিলারগুলোতে স্থাপিত বাতি নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক পিলারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জানা যায়, ডিএসসিসি-কে পুরো ফ্লাইওভারের নিরাপত্তাব্যবস্থা উন্নয়নের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। তারা সে অনুসারে ২৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকার একটি প্রকল্প তৈরি করেছে।
এ ব্যাপারে ডিএসসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মো. জাফর আহমেদ জানান, ফ্লাইওভারে এবার এমনভাবে বৈদ্যুতিক তার স্থাপন করা হবে যাতে কেউ চুরি করতে না পারে। পিলার টু পিলার-ভিত্তিক আলাদাভাবে তারের সংযোগ দেওয়া হবে। তা ছাড়া সেখানে স্মার্ট এলইডি বাতি স্থাপন করা হবে। ডিএসসিসির নগরভবনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকেই এ বাতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ফলে তার চুরির চেষ্টা হলেই সঙ্গে সঙ্গে চোরচক্রকে ধরে ফেলা সম্ভব হবে।
Thank you for your sharing. I am worried that I lack creative ideas. It is your article that makes me full of hope. Thank you. But, I have a question, can you help me?
Can you be more specific about the content of your article? After reading it, I still have some doubts. Hope you can help me. https://accounts.binance.com/lv/register-person?ref=B4EPR6J0