শরতের ‘কঠিন’ আবহাওয়া উপেক্ষা করে যুদ্ধকবলিত লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার সময় বাংলাদেশি নাগরিকসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের নিয়ে একটি নৌকা ডুবে গেছে। শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘ। খবর সিবিসি নিউজের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, লিবিয়ার জেলেরা বৃহস্পতিবার নৌকাটিকে দেখতে পান। এ ঘটনায় অন্তত ১৩জন নিখোঁজ রয়েছে। আর ২২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে মিসর, বাংলাদেশ, সিরিয়া, সোমালিয়া ও ঘানার নাগরিক রয়েছে।
শুক্রবারের দুর্ঘটনায় যারা বেঁচে গেছেন তাদের ত্রিপোলি বন্দরের আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।
গত বুধবার লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলি থেকে তারা রওনা হয়েছিলেন। লিবিয়ান কোস্টগার্ড জানিয়েছে, তারা নিখোঁজদের উদ্ধারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কমোডর মাসুদ আবদাল সামাদ বলেন, শরতকাল খুবই কঠিন মৌসুম। বাতাস যখন প্রবাহিত হয় তখন তা মারাত্মক রূপ ধারণ করে। আর (আবহাওয়া) তাৎক্ষণিকভাবে পরিবর্তন হয়ে যায়।
ওয়াশিংটন পোস্টের তথ্য অনুযায়ী, তিনটি লাশ পানিতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে। এর মধ্যে এক পুরুষ এবং এক নারীর বাড়ি সিরিয়ায়।
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির পূর্বাঞ্চলের এলাকা জিলটেন থেকে গত বুধবার সন্ধ্যায় নৌকাটি যাত্রা শুরু করে। দেশটির কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, তারা উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।
লিবিয়ার সাবেক শাসক গাদ্দাফির পতনের পর এই দেশ দিয়ে অনেক অভিবাসী ইউরোপে যাওয়া শুরু করেন। পাচারকারীরা প্রায়ই ঝুঁকিপূর্ণ নৌকায় মানুষদের সাগরে ভাসায়। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার মানুষ মারা গেছে এই অঞ্চলে।
Reading your article helped me a lot and I agree with you. But I still have some doubts, can you clarify for me? I’ll keep an eye out for your answers.