আব্দুর রহিম হাওলাদারঃ- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রী নিয়ে সদ্য বের হওয়া উলফাত আরা তিন্নির ঘর জুড়ে শুধু বই-খাতা আর সাফল্যের ক্রেস্টে ছেয়ে আছে।
এদিকে তিন্নির ওপর পাশবিক নির্যাতন ও মৃত্যুর ঘটনায় বিচার দাবিতে এরইমধ্যে ইবি ক্যাম্পাস উত্তাল হয়ে উঠেছে। শনিবার দুপুরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ইবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) একটি অনুষ্ঠান থেকে রাতে বাড়ি ফিরেই বর্বোরচিত হামলা আর পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যায় তিন্নি।
সরেজমিনে তিন্নির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ঘরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে তিন্নির বই-খাতা আর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাওয়া নানা ক্রেস্ট-পুরস্কার। সাদামাটা তিন্নির জীবন-যাপন ছিল সহজ সরল।
প্রতিবেশীরা জানান, খুবই মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন তিন্নি। খুবই হাসিখুশি ও সাদামাটা জীবন-যাপন ছিলো তার। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির আওয়তায় নেয়ার দাবি তাদের।
তারা জানান, এ ঘটনার মূল হোতা তিন্নির বড় বোন মিন্নির সাবেক স্বামী জামিরুলকে এখনও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারিনি। দ্রুত তাকে আটকের দাবি জানিয়ে কঠিন শাস্তির দাবি করেন তারা।
এদিকে ঘটনা পর থেকে নিহত তিন্নির পরিবার ও স্বজনরা আসামিদের হুমকির মুখে রয়েছেন বলে জানিয়েছে পরিবার। তবে ঘটনার পর থেকে তিন্নির বাড়ি আর আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর নজরদারির মধ্যে নিয়েছে।
ঝিনাইদহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, (অপরাধ ও প্রশাসন) আনোয়ার সাইদ জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে শৈলকুপা থানা পুলিশ সংবাদ পায় একটি মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ এসে দেখে এলাকার লোকজন মেয়েটিকে নামিয়ে হাসপাতালের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিন্নি মারা যাওয়ার পর কুষ্টিয়া থানার অফিসারা তার সুরতহাল করে এবং তারপরই তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।
পরবর্তীতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে রাতেই ৮ জনের নাম উল্লখেসহ অজ্ঞাত আরো ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করে শৈলকুপা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আসামিদের মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
আনোয়ার সাঈদ আরো জানান, তিন্নিকে ধর্ষণ করা হয়েছে কি-না, এখনই আমরা বলতে পারছি না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বিষয়টি জানা যাবে।
After reading your article, it reminded me of some things about gate io that I studied before. The content is similar to yours, but your thinking is very special, which gave me a different idea. Thank you. But I still have some questions I want to ask you, I will always pay attention. Thanks.