সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ- সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় বিয়ের অনুষ্ঠানে যাবার পথে ঝড়ের কবলে পড়ে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারডুবির ঘটনায় শিশুসহ আটজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন দুজন।
মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত উপজেলার কালিয়াকোটা হাওরের করচা বিলে অভিযান চালিয়ে ওই আটজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- দিরাইয়ের মাছিমপুর গ্রামের বাবুলের ছেলে শামীম (২), বদরুল মিয়ার ছেলে আবির (৩), মাসিমপুর গ্রামের আসাদ আলীর মেয়ে সান্তা (০৩), নোয়ারচর গ্রামের আফজলের ছেলে আসাদ (০৫), মাসিমপুরের রহিতুন নেসা (৩৫), চনারচর ইউনিয়নের পেরুয়া গ্রামের নজিবুল্লাহর স্ত্রী করিমা বেগম (৭০)। এ ঘটনায় নিখোঁজরা হলেন- দিরাই উপজেলায় মাসিমপুর গ্রামের তাসমিনা (১১) ও নোয়ারচর গ্রামের আজিরুন (৩০)।
দিরাই থানার ওসি কেএম নজরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় ডুবুরি দল ও এলাকার লোকজন ছোট ছোট নৌকা নিয়ে বিলে তল্লাশি চালিয়ে চার শিশুসন্তানের মরদেহ বিলের ভাসমান পানি থেকে উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসে। বুধবার ভোরে করচা বিলে আরও চারজনের মরদেহ পাওয়া যায়।
স্থানীয়রা জানান, দিরাই ইউপি সদস্য জানান, উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রাম থেকে গ্রামের হাবলু মিয়ার পরিবারের লোকজন পার্শ্ববর্তী চরনাচর ইউনিয়নের পেরুয়া গ্রামে ফিরোজ মিয়ার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিল।
মঙ্গলবার বিকালে তারা ছাউনিবিহিন খোলা ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে মাছিমপুর থেকে পেরুয়া গ্রামের উদ্দ্যেশে ছেড়ে যায়। ওই ট্রলারে ৩১ যাত্রী ছিলেন। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মাছিমপুর গ্রাম থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে কাইল্যাকুটা বিলে ট্রলারটি ঝড়ের কবরে পড়ে ডুবে যায়।
আশপাশের গ্রামের লোকজন নৌকা নিয়ে অন্যদের উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় চার শিশুসহ আটজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন দুজন।
রফিনগর ইউপি সদস্য কুটি মিয়া জানান, এ পর্যন্ত আট মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অনেক যাত্রী নিখোঁজ থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, ট্রলারডুবিতে আটজনের মরদেহ উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে।
Leave a Reply