পিঁপড়েরা যেমন চলেন আগে পিছে তার মতো করে লাশ তারপর লাশ শয়ে শয়ে শুয়ে আছে
পাশাপাশি।
কে আমার মাসী? কে তোমার প্রতিবেশি?
চিতার আগুনে জ্বলে ওঠা অগ্নিকুণ্ড লকলকে জিহ্বা মিথ্যে তার মতো করে কুন্ডলী পাকিয়ে উর্ধ্বকাশে উড়ে
ছুটে প্রিয়জন এ শ্মশান ও শ্মশান।
প্রিয়জন চলে যায়। সোজা সরল পথ তার মতো মায়ের সিঁথি ধূঁ ধূঁ আলপথ।
চাল নেই ঘরে, আগুন নেই উনুনে, পিঁপড়েরা ওম খোঁজে
মাটির চুলা তার অতলে।
মায়ের স্তনের বোঁটা মুখে নিয়ে শিশু বলে-
সবার বাবা কি আকাশের তারা হয়?
ধোঁয়ার কুন্ডলি উড়ে উড়ে পৌঁছে আকাশের বুকে?
মা, আমি যে তারা হবো।
পাশের বাড়ির সেই জোয়ান ছেলেটি যায় ভোটের- মিছিলে,
খেলা হবে, খেলা হবে, শ্লোগানে-শ্লোগানে বলে
আগে আগে ছুটে চলে সে মিছিলে
কোন খেলা?
এ খেলায় কে বা হারে? কে বা জিতে যায়,
কে যায় কবরে আর কে যায় শ্মশানে?
এ কোন খেলা চলছে? নেই কোন প্রতিপক্ষ
মানুষের আড়ালে যে খেলা চলে তার খোঁজ কি রাখো!
ধূলির সিংহাসনে বসে আজ তুমি মহারাজা সাজো।
লড়াই-লড়াই করে যাচ্ছো তুমি হেরে, তাঁর কাছে, একে-একে
চোখে দেখোনি যে তাকে- তবু মরে লাখে লাখে
বলছি……
মিথ্যের বেসাতি ছেড়ে সত্যের পথে হাঁটো খোলস ছাড়ো
Leave a Reply