তুমি মনে মনে তোমার মায়ের ছবি এঁকে ফেলো।
প্রথমে মায়ের চোখ আঁকো,
চারুশিল্পময় চোখে স্নেহ, আমূল বদলে যাবে পৃথিবী।
ঠোঁট আঁকো
গভীর চুম্বন পেলে, শুদ্ধ মানুষ; নিজেকে ভাববে তুমি।
তুমি আঁকতে আঁকতে স্তন জোড়া এঁকে ফেলো
খুব সন্তর্পণে আঁকো
দেখবে
তৃষ্ণার শীতল জলধারা, জীবন বাঁচার স্বর্গীয় আধার।
জোড়া হাত আঁকো টের পাবে
এমন কোমল হাত জায়নামাজে মঙ্গল কামনায় থাকে।
শাড়ীর আঁচল আঁকো
বৃক্ষের ছায়া যে রবে আর শীত নিবারণে উষ্ণতা পাবে।
অশ্লীল ভাবছো।
গোপনাঙ্গ আঁকতে খুব দ্বিধা
জীবনের চারুপাঠ না জানলে কি করে শ্রদ্ধাশীল হবে!
তুমি নাক আঁকো।
সেই সাথে আঁকো নাকের নথ
জানো, নথের অস্তিত্ব আর থাকে না বাবার মৃত্যুর পর।
টোল পড়া গাল এঁকে নিও
বিন্দু বিন্দু ঘাম কপাল জুড়ে
কচি ঘাসে শিশির জমে, সে জল কুসুম রোদ শুষে নেয়
কুসুম রোদ হয়ে শুষে নিও মায়ের যাবাতীয় দুঃখ ঘাম।
মায়ের পদচিহ্ন আঁকো
সমস্ত জড়তা, লজ্জা ঝেড়ে ফেলে ভাবো
মায়ের পদচিহ্নে আঁকা হবে তোমার বেহেশতের উঠোন
মা, ক্ষমা করো
আঁকতে পারিনি মনের মতো
তবু তোমার ভালোবাসায় প্রবহমান এ কাঙাল জীবন।
Leave a Reply