স্পোর্টস ডেস্কঃ
আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় তারকা রশিদ খান। ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই দলটির সেরা পারফরমার তিনি। হালে বিশ্বক্রিকেটেও বড় নাম রশিদ খান। এরই মধ্যে সময়ের সেরা স্পিনার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ সফরেও দুর্দান্ত বোলিং করেছেন রশিদ। টাইগাদের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে দুই ইনিংসে শিকার করেছেন ১১ উইকেট। ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে ঝুলিতে ভরেছেন চার ম্যাচে ৬ উইকেট।
বৃষ্টির কারণে তিন জাতি টুর্নামেন্টের ফাইনাল পরিত্যক্ত হয়েছে। ফলে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। সিরিজ শেষে রশিদ জানিয়েছেন, যেকোনো সংস্করণে সঠিক লাইন-লেন্থে বোলিং করলে সাফল্য পাওয়া যাবেই। শিক্ষাটি তাকে দিয়েছেন বিশ্বক্রিকেটের দুই স্পিন কিংবদন্তি শেন ওয়ার্ন ও মুত্তিয়া মুরালিধরন। সেই উপদেশ মেনেই নিয়মিত সাফল্য পাচ্ছেন তিনি।
রশিদ বলেন, আমি মুরালিধরন ও ওয়ার্নের সঙ্গে একই বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। দুজনই আমাকে অভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। নিজের বোলিং স্টাইলে পরিবর্তন না আনতে বলেছেন তারা। আগ্রাসী মানসিকতাতে বদল না আনার কথা বলেছেন। আমি যেমন, তেমনই থাকতে বলেছেন। সব পরিস্থিতিতে শান্ত ও নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পরামর্শই দিয়েছেন দুই কিংবদন্তি।
তিনি বলেন, মুরালিধরন-ওয়ার্ন আমাকে বোলিংয়ের গতিতে পরিবর্তন বা ভ্যারিয়েশন আনার চেষ্টা না করার পরামর্শ দিয়েছেন। পক্ষান্তরে সঠিক লাইন ও লেন্থে বল ফেলার দিকে বেশি মনোযোগ দিতে বলেছেন তারা। আমিও মনে করি, বোলিংয়ের ক্ষেত্রে এটিই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমার সাফল্যের নেপথ্য কারণ হয়তো এটিই।
এখন পর্যন্ত মাত্র তিনটি টেস্ট খেলেছেন রশিদ। তবে এরই মধ্যে ক্রিকেটের এ রাজসিক ফরম্যাটের ধাঁচ বুঝে ফেলেছেন তিনি। টেস্টে ধৈর্য ধরে বোলিং করলে সাফল্য আসবেই বলে মনে করেন এ লেগি।
আফগান ঘূর্ণি জাদুকর বলেন, টেস্টে এমনও সময় আসতে পারে ২৫ ওভার বল করেও কোনো উইকেটের দেখা মিলবে না। আবার এমনও হতে পারে এক ওভারে ২-৩ উইকেট পাওয়া যাবে। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে সবসময় এ কথাটাই আমার মাথায় ছিল। ম্যাচে আমি নিজের ওপর বেশি চাপ নিতে চাইনি। ধৈর্য ধরে বোলিং করার চেষ্টা করেছি।
রশিদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সেই স্পষ্ট, মুরালিধরন-ওয়ার্নের দেয়া উপদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন তিনি।
Leave a Reply