স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহীঃঃ- পুঠিয়া-বানেশ্বর আঞ্চলিক সড়কে নিম্মমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে।
এতে করে সড়কটি নির্মানের পর টেকসই নিয়ে এলাকাবাসীদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকাবাসী প্রতিবাদ করেও কোন লাভ হচ্ছে না।
বেশ কিছুদিন কাজ বন্ধা থাকার পর চলতি সপ্তাহের শুরুতে কাজ শুরু করে ঠিকাদার। সরজমিনে দেখাযায়, সড়কটির ডাব্লু এম এম এর কাজ চলছে পুরো দমে। এতে সড়কটিতে যে খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে তা নিম্নমানের বা সড়কটির আগের কালভাট ভাঙ্গা ইটের খোয়া । খোয়াগুলোতে মাটি মিশানো দেখে বুঝা যাচ্ছে এগুলো পুরাতোন খোয়া।
এসব খোয়াগুলো অন্য কোন জায়গা থেকে জামট্রাকে করে নিয়ে আশা হচ্ছে। এছাড়াও খোয়া গুলো এতো বড় বড় করে ভাঙ্গা হয়েছে বা অনে গুলো ইটের আদালাও রয়েছে। এসব খোয়া গুলো সড়কের উপর লেবার দের ভাঙ্গতে দেখা যায়। এসময় সংবাদ কর্মীরা ছবি তুলতে গেলে সড়কে কর্মরত শ্রমিকেরা দাম্ভিকতার সাথে বলতে থাকে ছবি তুলে বা সংবাদ প্রচার করে কোন লাভ হবে না।
এসব খোয়া রুলার করার সাথে সাথে সড়কে ডাস্টে পরিনত হচ্ছে। এসময় ঠিকাদারের লোকজন ছাড়া পুঠিয়া এলজিইডি আফিসের কোন লোকজন সেখানে ছিলো না। কর্র্তৃপক্ষের নজরদারীর অভাবে এ অবস্থা হয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। বর্তমানে সড়কটির বানেশ্বর জামালের দোকান হতে মাড়িয়া শাহপাড়া গ্রামের হযরত ফরিকের বাড়ি পর্যন্ত কাজ চলছে।
এলাকাবাসী এসব নিম্মমানে খোয়া বাদ দিয়ে সড়কটিতে মানসম্পন্ন খুয়া দিয়ে কাজ করার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে মাড়িয়া গ্রামের মমিন সরকার, একরাম হোসেন ও রবিউল ইসলাম বলেন, বর্তমানে সবচেয়ে নিম্মমানের ইট দিয়ে কাজ করছে ঠিকাদার। বর্তমানে ব্যবহৃত ইটগুলো সড়কটির বিভিন্ন জায়গার কালভাট ভাঙ্গার ইট। এসব ইট ব্যবহার করা হলে সড়কটি নির্মাণের কয়েক মাসের মধ্যে খানা খন্দের সৃষ্টি হবে বলে তারা জানান।
তবে ঠিকাদারের সাব ইঞ্জিনিয়র মুদার হোসেনের দাবি তারা মানসম্পন্ন ইটের খোয়া দিয়ে কাজ করছেন। এছাড়াও মারাদ হোসেন বলেন, আমার হাওয়া ভাটার ইট দিয়ে কাজ করছি। এসব ইট সড়কটির শক্তি বৃদ্ধি করবে এবং অফিস কর্তৃক আমাদের এই ইট অনুমোদন রয়েছে তাই বাংলা ইট ব্যবহার না করে হাওয়া ভাটার ইট ব্যবহার করছি।
সড়কটি ২০২০-২১ অর্থবছরে এশিয়ান ডেভোলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) আরসিআইপি প্রজেক্টে এর স্থানীয় সরকার প্রকৌল অধিদপ্তর পুঠিয়া রাজশাহীর এর আওতাধীনে পুঠিয়া কান্দ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে বানেশ্বর বাজার পর্যন্ত ১১ কিমি পাকা সড়ক প্রশস্তশরণসহ পুনঃনির্মানের কাজ শুরু হয়। সড়কটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ কোটি ৮ লক্ষ ৮ হাজার ২’শ ৪০ টাকা প্রাক্কলিত অর্থব্যয়ে নির্মিয়মান কাজটির দায়িত্ব পায় রাজশাহীর ঠিকাদারী দুইটি প্রতিষ্ঠান।
এ বিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা প্রকৌশলী আফরিন রহমানের দাবি মানসম্পন্ন ইটের খোয়া দিয়ে সড়কটির কাজ চলছে। এছাড়াও তিনি বলেন, ইটগুলো হাওয়া ভাটার হওয়ায় এলাবাসী বুঝতে না পারায় অভিযোগ করছে বলে তিনি দাবি করেন।
wag431