News Headline :
বোরহানউদ্দিনে গৃহ প্রদান উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ইউএনও”র সংবাদ সম্মেলন বোরহানউদ্দিনে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত রাজশাহীর পুঠিয়ার বানেশ্বর হাটে কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হলেও  উন্নয়ননের রেশ নেই  বোরহানউদ্দিনে রাতে ককটেল বিস্ফোরণ “এলাকায় আতঙ্ক আওয়ামী লীগ দেশ ছেড়ে পালায় না: বিএনপি নেতারাই পালিয়ে যায়।রাজশাহীর জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বোরহানউদ্দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হক চেয়ারম্যানকে পিটিয়ে জখম। বোরহানউদ্দিনে অবৈধ ট্রাক্টর কেড়ে নিলো আরমানের জীবন বোরহানউদ্দিনে জেলেদের মাঝে সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ বোরহানউদ্দিনে জমি দখল করতে সরকারি বরাদ্ধে নির্মিত বাজার ও মসজিদের টয়লেট ভেঙ্গে নিচ্ছে সাংবাদিকের কলমই পারে অপরাধীকে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিতে… প্রেসক্লাব সভাপতি অনু
জীবনমান উন্নয়নে তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়ন করতে হবে

জীবনমান উন্নয়নে তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়ন করতে হবে

জীবনমান উন্নয়নে তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়ন করতে হবে

 

সিডনি নিউজ ডেক্সঃ– জনগণের জীবনমান উন্নত ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে তথ্য অধিকার নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। জনগণের তথ্য জানার আগ্রহ ও প্রয়োজনকে মাথায় রেখে সরকারের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে তথ্য অধিকার আইনের বাস্তবায়ন জরুরি। এজন্য জনগণকে সচেতন করে তুলতে হবে। সেই সঙ্গে যারা তথ্য প্রদান করবেন তাদের সুরক্ষার জন্য সাক্ষী সুরক্ষা আইনের মতো আলাদা আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

‘তথ্য সবার অধিকার: থাকবে না কেউ পেছনে আর’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে তথ্য কমিশন আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমেদ।

বক্তব্য রাখেন দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. সাইফুল আলম, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মিজান-উল-আলম, তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম, তথ্য কমিশনের সচিব মো. তৌফিকুল আলম, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার প্রমুখ।

মরতুজা আহমেদ বলেন, দেশে এখনও সবার জন্য তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। সবার তথ্য অধিকার নিশ্চিত করতে হলে আমাদের এখনও আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে। সারাদেশে তথ্য অধিকার আইনটি ব্যাপক প্রয়োগে গণজোয়ার তৈরি করে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।

‘এটি তথ্য কমিশনের একার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে তথ্য কমিশন ইতিমধ্যেই সারাদেশে প্রশিক্ষণসহ নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। জনগণের সক্ষমতা নিশ্চিত করতে হলে এ আইন প্রয়োগের বিকল্প নেই। সমাজের সর্বস্তরে তথ্য অধিকার আইনের বাস্তবায়ন ঘটাতে হবে।

সাইফুল আলম বলেন, যখন অগণতান্ত্রিক সরকার আসে, তখনই বলা হয় এটা করা যাবে না, ওটা করা যাবে না। তারা অবাধ তথ্য প্রবাহকে ভয় পায়। সেটি তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে যায়।

তিনি বলেন, বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করতে তথ্য অধিকার আইন করেছে। আমরা গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে সব সময়ই চাই, তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত হোক।

‘তবে যেসব তথ্য প্রকাশ করলে দেশ, জাতি ও সমাজের ক্ষতির আশংকা থাকে সেসব তথ্য প্রকাশের বিষয়ে বিবেচনাবোধ আমাদের থাকতে হবে। তথ্য জানার অধিকার মানুষের জন্মগত অধিকার। একটি শিশু যখন বোধ লাভ করে তখন থেকেই বাবা, মা ও বড়দের কাছে জানতে চায় এটা কী, ওটা কী? পরবর্তীতে সে বড় হয়ে সমাজ বা দেশের কাছেও তথ্য জানতে চায়।’

সাইফুল আলম আরও বলেন, যারা তথ্য দেন তারা যাতে ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে তথ্য প্রদান করতে পারেন, সেজন্য সাক্ষী সুরক্ষা আইনের মতো তথ্য প্রদানকারীর সুরক্ষা আইন করা যায় কিনা, বিষয়টি ভেবে দেখতে হবে। কেননা, অনেক সময় তথ্য প্রদানকারী নানা ধরনের চাপের মধ্যে পড়েন।

জবাবে প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমেদ জানান, সুরক্ষা আইন ও বিধিমালা রয়েছে। যারা তথ্য দেবেন, তাদের এ আইনের মাধ্যমেও সুরক্ষা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম বলেন, দেশে আজকের যে উন্নয়ন, সেটি তথ্য অধিকার আইনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে রয়েছে। যারা এখনও বঞ্চিত রয়েছেন তারা সেই কাজটি করবেন, যাতে উন্নয়নের যে ধারা শুরু হয়েছে সেটি যেন অব্যাহত থাকে। সবাই তথ্য অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে পারেন।

মিজান-উল-আলম বলেন, তথ্য কমিশন দুদিনব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে। এসব কাজের মধ্য দিয়ে জনগণকে তথ্য অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 NewsTheme
Desing & Developed BY ServerNeed.com