সিলেট ব্যুরোঃ- আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, ফ্রিডমপার্টি-যুবদল করে কোনো নেতার পিছু নিয়ে যুবলীগে এসেছে খালেদ ভুইয়া। আর মির্জা আব্বাস মন্ত্রী থাকাকালীন টেন্ডারের অধিপত্য বিস্তার করে জিকে শামীম।
তিনি বলেন, অনেকে বলছেন- জিকে শামীম আওয়ামী লীগের বড় নেতাদের মাসোহারা দেয়। আর জিকে শামীমের ডায়েরিতে যে মির্জা আব্বাস ও মির্জা ফখরুলের নাম রয়েছে সেটা কী?
বুধবার সিলেটের কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় মাহবুব উল আলম হানিফ এ সব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিবের সমালোচনা করে হানিফ বলেন, ফখরুল সাহেব মেকিকান্না করেন তাদের লাখ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার রাজনৈতিক মামলা দেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক নয় সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ভোট সেন্টার পুড়ানো, প্রিজাইডিং অফিসার হত্যা ও পেট্রল বোমায় শত শত মানুষকে পুড়িয়ে মারার বিচার এ দেশেই হবে।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার দীর্ঘদিন পরও কাউন্সিল করতে না পারায় ব্যর্থতায় দায় নিয়ে নেতাদের পদত্যাগ করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন দলটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। একই সঙ্গে নভেম্বরের শেষদিকে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে সিলেটের যে কয়টি ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডে কমিটি নেই সেগুলো করতে হবে ও পরবর্তীকালে উপজেলাগুলোর সম্মেলন করে নভেম্বরে জেলার সম্মেলন আয়োজন করার জন্য হানিফ নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালে সিলেটে এসে শুনে গিয়েছিলাম যে কয়টি কমিটি আছে ২০১৯ সালেও এসে শুনি সেগুলোই রয়েছে। নতুন করে কোনো ইউনিটের কমিটি করা হয়নি। এটা অবশ্যই ব্যর্থতার পরিচয়। দায়িত্বশীলদের উচিত ছিল এই ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করা।
হানিফ বলেন, সিলেটে যে কয়বার সভা করতে আসি, শুনি আপনরা ঐক্যবদ্ধ হবেন। কিন্তু আজও আপনারা ঐক্যবদ্ধ হতে পারেননি। যারা দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করেন তাদের দলে থাকার নৈতিক অধিকার নেই। দলের বিরুদ্ধে অবস্থা নিয়েছিলেন বা ভবিষ্যতে নিবেন তাদের ব্যাপারেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ। বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ, আহমদ হোসেন।
উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট মহানগর সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান, হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. মুসফিক হোসেন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যাপক রফিকুর রহমান, শামীমা শাহরিয়ার এমপিসহ জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply