সমগ্র বাংলাভাষা-ভাষীদের পক্ষ্য থেকে সিডনির সমস্ত ভাষা-ভাষীদের তাদের মাতৃ ভাষার সাথে সংযোগ ঘটাতে সিটি কাউন্সিলের প্রবাসী বাংলাদেশী কাউন্সিলর নাজমুল হুদা, কাউন্সিলর শাহে জামান টিটো, মুনীর হোসেইন-এর এই উদ্যোগের সাথে আরো ছিলেন আদুল্লাহ আল নোমান শামীম ও লিঙ্কন শফিকুল্লাহ।
সিডনির লাকেম্বায় এই সাংবাদিক সম্মেলন করে সারা অস্ট্রেলিয়া তথা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে সবাই একত্রিত হয়েছিলো। সাংবাদিক সম্মেলনে পরিকল্পনাটি তুলে ধরেন বাংলা হাব’এর মুনীর হোসেইন, কাউন্সিলের কাজ ও এই প্রজেক্টের কথা তুলে ধরেন কাউন্সিলর নাজমুল হুদা, আমাদের করনীয় ও এর সাথে বাংলাদেশী কম্যুনিটির সম্পর্ক তুলে ধরেন কাউন্সিলর শাহে জামান টিটো, সহযোগিতার ব্যাপ্তি তুলে ধরেন লিঙ্কন শফিকুল্লাহ এবং সংবাদ সম্মেলনটি পরিচালনা করেন মুক্তমঞ্চের সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান শামীম।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক ও বাংলা ভাষায় যারা বহুদিন সিডনিতে কাজ করছেন তাদের মতামত ও বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়। সম্মেলন এই মহতী উদ্যোগের সাথে সবাইকে জড়িত হওয়ার আহবান জানানো হয় এবং উপস্থিত প্রত্যেকেই এই উদ্যোগের সাথে মনে-প্রানে একসাথে থাকার অঙ্গীকার করেন। সিডনির বাঙালিপাড়া খ্যাত লাকেম্বার পিল পার্কে এ স্মৃতিসৌধ নির্মিত হবে।
মুলত সিডনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সিডনির ক্যান্টারব্যারি ব্যাংকসটাউন সিটি কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে এই স্মৃতিসৌধের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই কাউন্সিলরের অধীনে একটি ব্যাঙ্ক একাউন্ট খোলা হয়েছে। স্মৃতিসৌধ নির্মাণের প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৬০ হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার। ক্যান্টারব্যারি ব্যাংকসটাউন সিটি কাউন্সিল ও দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সহযোগিতায় এই অর্থ সংগ্রহ করা হবে।
পার্থ প্রতীম বালা’র অনবদ্য ডিজাইনে সকল ভাষাভাষীর সম্মানে এই স্মৃতিসৌধে ফুটে উঠেছে বহুজাতিকতা, আত্মনির্ভরতা আর একুশের চেতনায় লালিত ইউনেস্কোর স্বীকৃতি। স্মৃতিসৌধটির প্রাথমিক নকশাটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। নকশায় একটি বেদি থেকে দুটি হাতের ওপর পৃথিবীকে তুলে ধরে রাখা—এমন একটি কাঠামো রয়েছে। পৃথিবীর নকশাটিতে বাংলা ভাষার অক্ষরসহ বিভিন্ন ভাষার অক্ষর রয়েছে। স্মৃতিসৌধের উচ্চতা ও প্রস্থ হবে ২৮ ফুট করে। উল্লেখ্য, এর আগে ২০০৬ সালে সিডনির অ্যাশফিল্ড পার্কে একুশে একাডেমী অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোগে বিশ্বের প্রথম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়।
ইতিমধ্যেই আই অনবদ্য সফলতায় গা’ ভাসিয়েছেন প্রবাসী বাঙ্গালীরা, আনন্দে উদ্বেল প্রবাসীরা অপেক্ষা করছেন ইতিহাস তৈরীর এই আয়োজনে শরীক হওয়ার জন্য, এর জন্য তারা কাউন্সিলের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলছেন, বহুজাতিক সমাজে এটি আমাদের বাঙ্গালীদের অন্যতম সফলতা ও স্বীকৃতি।
Leave a Reply