News Headline :
বোরহানউদ্দিনে গৃহ প্রদান উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ইউএনও”র সংবাদ সম্মেলন বোরহানউদ্দিনে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত রাজশাহীর পুঠিয়ার বানেশ্বর হাটে কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হলেও  উন্নয়ননের রেশ নেই  বোরহানউদ্দিনে রাতে ককটেল বিস্ফোরণ “এলাকায় আতঙ্ক আওয়ামী লীগ দেশ ছেড়ে পালায় না: বিএনপি নেতারাই পালিয়ে যায়।রাজশাহীর জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বোরহানউদ্দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হক চেয়ারম্যানকে পিটিয়ে জখম। বোরহানউদ্দিনে অবৈধ ট্রাক্টর কেড়ে নিলো আরমানের জীবন বোরহানউদ্দিনে জেলেদের মাঝে সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ বোরহানউদ্দিনে জমি দখল করতে সরকারি বরাদ্ধে নির্মিত বাজার ও মসজিদের টয়লেট ভেঙ্গে নিচ্ছে সাংবাদিকের কলমই পারে অপরাধীকে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিতে… প্রেসক্লাব সভাপতি অনু
চুরির অপবাদ দিয়ে বৃদ্ধাকে পিটিয়ে থানায় সোপর্দ, পেটালেন পুলিশও

চুরির অপবাদ দিয়ে বৃদ্ধাকে পিটিয়ে থানায় সোপর্দ, পেটালেন পুলিশও

চুরির অপবাদ দিয়ে বৃদ্ধাকে পিটিয়ে থানায় সোপর্দ, পেটালেন পুলিশও

 

মালিহা মুন্নি, বরগুনাঃ-  বরগুনার আমতলী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কাইয়ুমের বিরুদ্ধে রীনা বেগম (৫৫) নামের এক নারীকে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিবেশী বেলাল ওই বৃদ্ধাকে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে মারধর করে আমতলী থানায় নিয়ে যায়।

ওই সময় ডিউটি অফিসার হিসেবে কর্মরত এএসআই কাইয়ুমও রীনা বেগমকে পিটিয়ে আহত করেন। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপতালে ভর্তি করা হয়।

জানা গেছে, আমতলী সদর ইউনিয়নের কড়াইবুনিয়া গ্রামের বেলাল মিয়ার বিয়ের অনুষ্ঠানে একটি মোবাইল চুরি হয়। ওই মোবাইলটি তালতলীতে একজনের কাছে খোঁজ পায়। রীনা বেগম ওই মোবাইলটি চুরি করে বিক্রি করেছেন এমন অপবাদ দিয়ে বেলাল ও তার পরিবারের লোকজন তাকে মারধর করে।

পরে ওই নারীকে বেলাল আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোতাহার মৃধার কাছে নিয়ে আসে। চেয়ারম্যান রীনার মারধরের অবস্থা দেখে আমতলী থানায় সোপর্দ করেন। থানায় নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার এএসআই কাইয়ুম উত্তেজিত হয়ে রীনাকে বেধরক পেটাতে থাকে এবং মহিলা পুলিশ দিয়ে মারধর করান।

এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ছেড়ে দেয়। স্বজনরা তাকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। পরে পুলিশের ভয়ে ওই বৃদ্ধা আমতলী হাসপাতাল ছেড়ে বৃহস্পতিবার রাতে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন।

বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত রীনা বেগম বলেন, বেলাল তার প্রতিবেশী। জমিজমা নিয়ে বেলালে সাথে বিরোধ চলছে। এর জের ধরে বেলাল মোবাইল ফোন চুরির মিথ্যে অপবাদ দিয়ে আমাকে মারধর করে। পরে আমতলী থানায় নিয়ে এসে ফের পুলিশ দিয়ে বেধরক মারধর করায়।

এ ব্যাপারে প্রতিবেশী বেলালের সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।

আমতলী থানার এএসআই কাইয়ুম প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করেন। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে রীনা বেগমের খোঁজ খবর নিতে আসেন।

রীনা বেগম কাইয়ুমকে দেখেই বলেন, আপনিই তো আমারে লাঠি দিয়া পিটাইছেন, আপনি আমারে মারলেন কেন? কাইয়ুম মারধরের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বৃদ্ধা রীনার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়ে তাকে ওষুধ ও পথ্য কিনে দিয়ে চলে যান।

আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল বাশার বলেন, শুনেছি চেয়ারম্যানের ওখানে মোবাইল চুরি নিয়ে একটা ঝামেলা হয়েছিল। তবে থানায় কোনো পুলিশ অফিসার রীনা বেগমকে মারধর করেছে কিনা আমার জানা নেই। আমি এ বিষয়টি খোঁজ নিয়ে জানবো। যদি কোনো পুলিশ অফিসার এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 NewsTheme
Desing & Developed BY ServerNeed.com