রাহাত মাসুম , নীলফামারী থেকে,
চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করলেন রেলপথ মন্ত্রী জনাব, মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন, এমপি। আজ শনিবার সকালে নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটিতে, ভারতের সাথে বাংলাদেশের সরাসরি রেল সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে চিলাহাটি এবং চিলাহাটি সীমান্তের মধ্যে ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প, বাংলাদেশের চিলাহাটি এবং ভারতের হলদিবাড়ি রেলপথ নির্মাণ ও সম্প্রসারন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। নির্মাণ কাজের উদ্বোধন কালে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, এর মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সোনালী অধ্যায় সূচনা হলো।
মন্তীর আগমন উপলক্ষে বিপুল সংখ্যক তোড়ণ, স্কুল কলেজ মাদরাসার হাজার হাজার ছাত্র- ছাত্রী, স্কাউস দল, ও স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীরা মন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান নুর, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস, নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রাবেয়া আলীম, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যস্থাপক (জিএম) হারুন-অর-রশীদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, জেলা প্রশাসক (ডিসি) হাফিজুর রহমান চৌধুরী, পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ আশরাফ হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস বলেন, বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিকভাবে উত্তরোত্তর উন্নতিতে প্রতিবেশী ও বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে ভারত গর্ববোধ করে।মোট ৮০ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশের চিলাহাটি থেকে ভারতের হলদিবাড়ি পর্যন্ত ৬ দশমিক ৭২৪ কিলোমিটার এ রেলপথ স্থাপনের কাজ করছে ‘ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড’ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। দেশ ভাগের আগে এই রেলপথটি চালু ছিল। ১৯৬৫ সালে যুদ্ধের সময় এটি নষ্ট হয়ে যায়। দীর্ঘ দিন এই রেলপথটি অকেজো অবস্থায় পড়ে ছিল। ছিলনা রেল যোগাযোগ। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার কারণে এই রেল লাইন নতুন করে চালু হতে যাচ্ছে। রেলপথটি চালু হলে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সরাসরি রেল যোগাযোগ সম্ভব হবে। এতে যোগাযোগ ক্ষেত্রে অর্থ সাশ্রয় ও যোগাযোগ সহজতর হবে। ২০২০ সালে জুন-জুলাইয়ের মধ্যে রেলপথটিতে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করা হবে বলে জানা গেছে।
Leave a Reply