জোছনা বিলাসী
সাংবাদিক মুহাঃমাসুম বিল্লাহ জাফর
এই-হেমন্তাকাশে ছড়ানো জোছনা,
সাধ জাগে-মাখি, মুঠি মুঠি ধরে নিশীথে।
আর-যেখানে থাকেনা ঝাড়বাতির সে ছোঁয়া,
বাজে না’ক সুর আধুনিকতার সে বাঁশিতে।
নেই-রেলের শব্দ,জনকলরব,
কর্মব্যস্ত মানুষের ভীড়,চিন্তা;
নেই-মায়ের বকুনি,বাবার শাসন,
অভিমান,লোভ,অপকর্মের নিন্দা।
তাই-বড় সাধ যেতে সেখানে;
জোছনা ছড়ানো যেখানে।।
থাকে-দু’ধারে সারিতে সবুজ বৃক্ষ,
কুলকুল গানে বয়ে চলা নদী তটেতে,
দূরে-হয়তো বসেছে গানের আসর
কবিতা আবৃতি,পুঁথি,জারি,সারী বটেতে।
থাকে-নদীর মোহনা,বিশাল সাগর,
বিস্তৃত চরে যে বালিরাশির চিকর;
আর-ছোট্ট ডিঙ্গি নতুবা বাহনে
পূর্ণিমা রাতে রূপালী জলের উপর।
চাই-শুধু নিরিবিলি রাত্রি;
দুজন মাত্র যাত্রী।।
যথা-আবেগের ঢেউ প্রেমাকাঙ্ক্ষীরা
আগ্রহ চিত্তে শুনে-বলে করে উজাড়,
যথা-কাঁধে রেখে মাথা প্রকৃতির মাঝে
প্রেয়সী মনের প্রফুল্ল খোঁজে হাজার।
যথা-প্রেয়সীর রূপে মুগ্ধতা ছেয়ে
হাজার হাজার শুকরিয়া মানে নাগর,
যথা-কী যে অপরূপ! কী যে মায়াবিনী!
অপলক দেখা কাজল চক্ষু ডাগর।
যথা-এক ফালি চাঁদ এনে ধরে মুখে,
প্রিয়ার রূপকে করে যেই জন উপমা,
যথা-জোছনার আলো গোসল করায়
অবুঝ মনকে,এনে দেয় মনে সুষমা।
তাই-যেতে চাই সেথা’ দু’জনা;
মাখামাখি হবে জোছনা।।
তবে-যদি হয় পাশে ঝাউবন,ঝোঁপ,
ঘন জঙ্গল,নিশাচরী পাখি যাওয়া,
আর-যদি ডাকে পেঁচা,হঠাৎ করেই,
চারপাশে বয় নলবুনিয়া শীতের শীতল হাওয়া;
সেটা-নাড়া দেয় মন আবার তালতলী
জোছনা বিলাসী ভাবার।
Leave a Reply