সাজেদুর রহমান জাহিদ, রাজশাহী :- সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলা গাফলতি কারণে রাজশাহীর পুঠিয়া-দূর্গাপুর ও বাঘমারা উপজেলায় ব্যক্তি মালিকানায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা ১৫/২০ টি মৎস আড়ৎ সরকারী ভাবে ইজারা প্রদান না করায় সরকার প্রতি বছর প্রায় কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয় হতে বঞ্চিত হয়েচ্ছে।
জানাগেছে, এ সকল অবৈধ আড়ৎদাররা স্থানীয় প্রশাসনকে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে সšেতাষ্ট রেখে বছরের পর বছর অবৈধ ভাবে সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ব্যক্তি মালিকানায় এই আড়ৎ গুলিতে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ অবৈধ আড়ৎ গুলি হচ্ছে, রাজশাহীর পুঠিয়া ৫টি, বাগমারা ৭টি দুর্গাপুরে, বাঘমারায় ৮টি,এর মধ্যে পুঠিয়া সদরে কাঁঠালবাড়িয়া ট্রাফিক ফাঁড়ী সংলগ্ন মৎস্য আড়ৎ ,সাধনপুর বাজার মৎস আড়ৎ, মোলা পাড়া বাজার মৎস আড়ৎ , সাতবাড়িয়া বাজার মৎস আড়ৎ , র্দুগাপুর কানপাড়া মৎস্য আড়ৎ , দুর্গাপুর সদরের সিংঙ্গা মৎস্য আড়ৎ , বাগমারা থানার মোচমোইল বাজার মৎস্য আড়ৎ, ভবানীগঞ্জ বাজার মৎস আড়ৎ মৎস্য আড়ৎ, তাহেরপুর সিনেমা হলের সংল্গন্ন দুটি মৎস আড়ৎ সহ মোট ২০টি মৎস আড়ৎ দীর্ঘদিন যাবত সরকারী লাখ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি বছরের পর বছর।
অবৈধ চালিয়ে আসছে।নিয়ম অনুযায়ী ব্যক্তিমালিকানায় কোন হাট বাজার বা মৎস্য আড়ৎ গড়ে তোলার কোন বিধান না থাকলেও এসব অবৈধ ব্যবসায়ীরা নিজেদের খেয়াল খুশি মত বে-আইনী ভাবে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় গোপন আতাঁত ও যোগ সাজস করে ব্যক্তি মালিকানায় এসব অবৈধ মৎস্য ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। উলেখিত এই ১৩টিআড়ৎ প্রতিদিন প্রায় কোটি টাকার মৎস কেনা বেচা হয়ে থাকে।
এছাড়া শুধুমাত্র পুঠিয়া মৎস্য আড়ৎ প্রতিদিন প্রায় ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকার মাছ কেনা বেচা হয়। পুঠিয়া আড়তে রয়েছে ১৩ জন আড়ৎদার। এদের প্রতিজনের একেক দিনের আড়তদারি আয়১০থেকে ১৫ হাজার টাকা।
এতে করে এই আড়তে প্রতি দিন আয় হয় প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকা। কিন্তু সরকার এই আড়ৎ থেকে কোন রাজস্ব পান না। এ ভাবে প্রত্যেকটি আড়তে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা মৎস্য কেনা বেচা হয়ে থাকে। এ আড়ত সরকারী ভাবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন যদি ঢোল আদায়ের মাধ্যমে ইজারা প্রদান করতো তাহলে সরকার প্রায় কোটি কোটি রাজস্ব লাভ করত।
Leave a Reply