আমাকে হত্যা করো ,
পশুর মতো খুবলে খাও আমার যকৃত ,
ক্রুশবিদ্ধ করে লটকে রাখো ব্যস্ত রাজপথে ;
উলঙ্গ করে সেঁটে দাও দুরন্ত এক প্ল্যাকার্ড
আমার প্রশস্ত বুক বরাবর ;
সেখানে গোট গোট হরফে লিখে দাও –
‘ দেশদ্রোহী এক শুয়োরের বাচ্চা ! ‘
চেতনার ফেরিওয়ালা চামচিকাগুলো
সমস্বরে গেয়ে উঠুক –
‘ হুম ! বেশ হয়েছে ! ‘
হে রাষ্ট্র !
তোমাকে প্রতিশ্রুতি দিতেই হবে –
আমার ত্যাগে –
শর্তহীন মুক্তি পাবে আমার সন্তানরা !
এই পলিময় বাংলার প্রতিটি জনপদ ,
অলি গলি আর পাকস্হলি –
তাদের জন্য হবে নিশ্চিন্ত !
আমি পরাধীনতার জংধরা সেকেলে পেরেক
বুকে নিয়ে ,
হাস্যজ্জ্বল মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে প্রস্তুত !
আমি নি:শর্ত আত্মসমর্পণ করতে চাই –
তোমার পদযুগলে !
আমার উদ্ধত , বাড়ন্ত কলম কে উল্টো করে
চাইলেই তুমি –
পুরে দিতে পারো আমার সংকীর্ণ পায়ুপথে ,
কলম কোনো শব্দ করবেনা ,
তৈরি করবেনা শব্দবোমা !
আমার চোয়াল বরাবর গেঁথে দাও –
ডজন খানেক বেরসিক আততায়ী বুলেট ,
হা পা বেঁধে ভাসিয়ে দাও – নর্দমার ভাগাড়ে ।
শুধু প্রতিশ্রুতি দাও ,
আমার সন্তানরা পাবে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা !
ছোপ ছোপ রক্ত ভেসে উঠবেনা তাদের নিথর অবয়বে ।
ওদের নিরেট খুলির মেধাবী মস্তিষ্ক –
খুবলে খাবেনা শুয়োর আর হায়েনার পাল !
হে রাষ্ট্র !
তুমি তো পঁচে গেছো বহু আগেই !
আমিও তোমার সাথে নষ্ট হয়ে , পঁচে গিয়ে –
চিরমুক্ত করতে চাই আমার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে
Leave a Reply