নির্জনে নামিছে আঁধার চুপিচুপি
বইয়ের পৃষ্ঠায় নিবিষ্ট ছিল চোখদুটি ,
হঠাৎ অনলাইনে ভাসলো তোমার মুখ ইনবক্সে মেসেজ
কি বোর্ডের আঙ্গুলে টপাটপ চ্যাটিঙে —
গভীরতর রাত্রি সীমানা ছাড়ায় ।
দুজনেরই অসংলগ্ন প্রলাপের অসংযত ভাষণ
কথা থেকে কথান্তরে ভাষা থেকে ভাষান্তরে
সীমানা হারায় অবদমিত ইচ্ছার আবেগে !
যা ছিল ফল্গু নদীর মতোই শুকনো মরুর নীচে
শুষ্ক খটখটে বহিঃপ্রকাশহীন।
দীর্ঘদিনের জমানো ব্যাথা ভাষা হয়ে ঝরে পরে
দু’হাজার উনিশের চব্বিশ শে অক্টোবরের মধ্যরাতে
মোবাইলের স্ক্রিনে অসংখ্য গোলাপ
একটু একটু পাপড়ি মেলে
মালা হয়ে ঝুলছিল দুজনার গলে ,
পরস্পরের মন ছোঁয়াছুঁয়ির রঙে
দীর্ঘদিনের অভুক্ত খিদে গিলতে চায় সর্বাঙ্গ !
জীবনের ফেলে আসা সুদীর্ঘ পথের
চড়াই উৎরাই ভাঙতে ভাঙতে অবশেষে
অপার্থিব সৌন্দর্যের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে
হারিয়ে গেলাম ত্রিশ বছর আগে ।
যৌবনের অসম্ভব যন্ত্রণা অনুভব করলাম পুনর্বার
তোমার সংলাপে চব্বিশের অক্টোবরের মধ্যরাতে
তুমিও আবিষ্কার করলে নিজেকে নতুন করে —
Leave a Reply